প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাথে পাল্লা দিয়ে ফের বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর প্রভাব পড়েছে জনসাধারণের জীবনেও। এ বছরে চালানো ‘প্রাক-বর্ষা মশা’ জরিপের ওপর ভিত্তি করে জনস্বাস্থ্যবিদরা ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আভাস দিয়েছিলেন আগেই।
সেটির সত্যতাও মিলেছে দেশে গত কয়েকদিনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায়। জনস্বাস্থ্যবিদরা দুটি রোগের জন্যই মানুষকে সতর্ক থাকার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৭ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৬ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আর বাকি একজন ঢাকার বাইরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।
এখন অনেকেই জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেই হঠাৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। খবর দিয়ে জানাচ্ছেন, জ্বর জ্বর ভাব, তাই ঝুঁকি নিয়ে অফিসে আসতে চান না। অনেকে বলছেন, জ্বর হওয়ার পর করোনা পরীক্ষা করতে দিয়েছেন, ফলাফল পাওয়ার পর অফিসে আসার সিদ্ধান্ত নেবেন। কেউ বলছেন, পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঝুঁকি না নিয়ে কেউ কেউ একইসাথে ডেঙ্গু ও করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৩৫২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর চলতি মাসের ২৯ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন। যদি থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, অর্থাৎ দুই-তিন দিন বৃষ্টি, তারপর দুই-তিন রোদ থাকলে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরো বাড়তে পারে বলে জনস্বাস্থ্যবিদেরা আশংকা প্রকাশ করেছেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু ও করোনা পরীক্ষার জন্য সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন, এমন নির্দেশনা সরকারের তরফে থাকতে হবে। একইভাবে ডেঙ্গু ও করোনায় মানুষ যেন আক্রান্ত না হন, সে ব্যাপারেও জোর প্রচার চালাতে হবে। পাশাপাশি রোগীর চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে।
জনস্বাস্থ্যবিদদের ভাষ্যমতে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টেই মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগের তীব্রতা তুলনামূলকভাবে কম। অধিকাংশ আক্রান্ত মানুষ বাড়িতেই থাকছেন।
উপসর্গ নিয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের এবার কাশি বেশি দেখা যাচ্ছে। এছাড়া অবসাদ থাকছে ২০ থেকে ২৫ দিন।
একইসাথে ডেঙ্গু ও করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ সাধারণ মানুষকে সচেতন করার বাড়তি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সামনে পবিত্র ঈদুল-আযহা বলে স্বাভাবিকভাবেই হাটবাজারে ও রাস্তায় মানুষের জনসমাগম বাড়বে। ফলে সংক্রামক ব্যাধি দুটি আরো ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh