শিক্ষকদের দাবি অনুসারে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে চারঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকার পর মুক্ত হলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মুক্ত হয়েই পুলিশি পাহারায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি। অবরুদ্ধ অবস্থায় তিনি রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভা আহবানের তারিখ ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আব্দুল আলীম জানান, পুর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ সকাল ১১টায় উপাচার্যের কক্ষে রিজেন্ট বোর্ডের সভা শুরু হয়। সভায় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়, আপগ্রেডেশন ও শিক্ষকদের এমফিল, পিএইচডি অনুমোদনের কথা ছিল। উপাচার্য স্যার নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি। তিনি নিয়ম ভেঙে তাঁর ভাতিজিসহ ১০২টি পদে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শিক্ষকদের বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। এতে অন্যান্য শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন।
সভা চলাকালে বিতর্কিত নিয়োগ ও অনিয়ম নিয়ে রিজেন্ট বোর্ড সদস্যরা প্রশ্ন উত্থাপন করেন। এ সময় উপাচার্য রোস্তম আলী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। শিক্ষকদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হট্টগোল শুরু হলে, সভা বাতিল ঘোষণা করেন তিনি।
পরে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপাচার্যের কক্ষে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন। ভুক্তভোগীরা বাহির থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
খবর পেয়ে রিজেন্ট বোর্ডের অন্যতম সদস্য পাবনা-১ আসনের সাংসদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের সাথে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। উপাচার্য শিক্ষকদের বিষয়গুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান সাবেক প্রতিমন্ত্রী।
শিক্ষক-কর্মকর্তারা বিকেল ৪ টার দিকে শামসুল হক টুকুর এই আঁশ্বাসে তাঁদের কর্মসুচী স্থগিত করে অবরুদ্ধ ভিসিকে মুক্ত করে দেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলীর সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি।
সম্প্রতি পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে ১০১টি দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত দাবি করে এককভাবে প্রতীকী অনশন করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে ইউজিসি ও তদন্ত কমিটি। অজ্ঞাত কারণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির পরও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।