কক্সবাজারের কালারমারছড়া সোনাপাড়া খননযন্ত্র স্কেভেটার দিয়ে পাহাড় ও টিলার মাটি কাটা অবশেষে বন্ধ হয়েছে। অভিযোগ ছিল সোনাপাড়া এসপিএম প্রকল্পের পূর্ব পাশে বাউন্ডারী ওয়ালের বাইরে খননযন্ত্র স্কেভেটার দিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে চালিয়াতলী টু মাতারবাড়ী সংযোগ সড়ক বিক্রি করে আসছিল। বুধবার ‘‘দৈনিক সংবাদ সারাবেল’’ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘পাহাড়ের বোবা কান্না থামাবে কে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশেরপর বনবিভাগ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সতর্কবাণীর পর এই কাজ বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগের লোকজন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অন্য বছর প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ টিলার মাটি বহনকারী পরিবহন আটকে চালকদের অন্তত সতর্ক করা হতো। কিছু ক্ষেত্রে অভিযান চালিয়ে জরিমানাও আদায় করা হতো। কিন্তু এবার পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধ হলেও চোখে পড়েনি প্রশাসনের কোনো অভিযান। এদিকে, পরিবেশ অধিদপ্তরও পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধের ব্যাপারে নির্বাক। গত কয়েক মহেশখালীতে পরিবেশ অধিদপ্তর কোনো অভিযানই চালায়নি। ফলে পাহাড়-টিলার মাটি কাটা হচ্ছে বেপরোয়াভাবে। জানাগেছে, প্রভাবশালীদের দাপটে দিন দিন পাহাড়ের বনজ সম্পদ এবং উপজেলার বনজ জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। অব্যাহতভাবে পাহাড়-টিলা কাটার ফলে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনেও তার প্রভাব পড়ছে। অতিবর্ষণে ভূমিধসে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
বাসস্থান হারিয়ে নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী লোকালয়ে এসে প্রাণ হারাচ্ছে এবং মানুষের উদ্বেগ-আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড়-টিলার মাটি কেটে ধংস করা হচ্ছে পাহাড়ের বনজ সম্পদ। প্রভাবশালীরা পাহাড়-টিলার মাটি কেটে তা চড়া দামে বিক্রি করছে। আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে অনেকেই ব্যক্তিমালিকানাধীন টিলা কেটে নির্মাণ করছে বাড়ি ও রাস্তা। মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদেকুল খান সংবাদ সারাবেলাকে জানিয়েছেন, প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করার খবর পাওয়ার পর স্থানিয় বিট কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হয়তো পাহাড় কাটা বন্ধ হয়েছে।