মার্কিন পপ গায়িকা ম্যাডোনা বিতর্কের পিছনে ছোটেন না বিতর্ক তার পিছনে ছোটে-এই রহস্যটার এখনো সমাধান মেলেনি। ৬৩ বছর বয়সী গায়িকা এই বয়সে যেসব কাজকর্ম করে চলছেন, তা করতে গেলে ডানপিটে যুবক-যুবতীরা একটু হলেও ভাববে।
সম্প্রতি অশালীন অঙ্গভঙ্গি আর খোলামেলা পোশাক পড়ার জন্য ইনস্টাগ্রাম তার ভিডিও ব্লক করেছে। ইনস্টাগ্রামের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ম্যাডোনার মন্তব্য-সারা জীবনে তো আসলে বেশি পোশাক পড়িনি!
ম্যাডোনাকে আশির দশকের পপ রানী হিসেবে মনে করা হয়। তিনি একইসাথে একজন নামকরা অভিনেত্রীও। যদিও সঙ্গীত ও অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের কাছ থেকে সবসময় ইতিবাচক প্রশংসা পেয়েছেন, কিন্তু তিনি অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। অনেকে বলে থাকেন যে, সৃষ্টিশীল কাজের চেয়ে ম্যাডোনা বিতর্কিত কাজের জন্যই বেশি পরিচিত।
‘ট্রুথ অর ডেয়ার’ ডকুমেন্টারিটি ম্যাডোনার বিতর্কিত ১৯৯০ সালের ব্লন্ড অ্যাম্বিশন সফরের কাহিনী নিয়ে নির্মিত। এই ডকুমেন্টারির একটি দৃশ্যে দেখা যায়, তিনি ‘লাইক আ ভার্জিন’ গান গাওয়ার সময় দৃষ্টিকটু অঙ্গভঙ্গি করছেন। যদিও লাইভ পারফরম্যান্সের আগে তাকে আয়োজকেরা সতর্ক করেছিলেন বলে জানা যায়। মঞ্চে তার অভিনয় অনেককে বিক্ষুব্ধ করেছিল। বিক্ষুব্ধরা মনে করেছিল যে, তিনি বাকস্বাধীনতার নামে নোংরামি করছেন।
১৯৯৩ সালে পুয়ের্তো রিকোর নাগরিকরা তাদের দ্বীপের পতাকাকে অসম্মান করার জন্য ম্যাডোনার বাড়ির বাইরে প্রতিবাদ করেছিল। সান জুয়ানের কাছে গার্লি শো সফরের সময়- তিনি ঘাম মুছতে একটি পতাকা ব্যবহার করেছিলেন, তারপর পতাকাটি তার বুকে ধরে রেখেছিলেন এবং তার পায়ের মধ্যে দিয়েছিলেন। এরপর কয়েক ডজন ছাত্র তখন মেক্সিকো সিটিতে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে ম্যাডোনার পোস্টার পুড়িয়ে দেয়।
‘হোয়াট ইট ফিলস লাইক ফর অ্যা গাল’ ম্যাডোনার বিতর্কিত গানগুলির মধ্যে অন্যতম। এই গানের মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায়, ম্যাডোনা একটি হলুদ গাড়িতে বেপরোয়াভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, পুরুষদের ওপরে দৌড়াচ্ছেন, পুলিশকে কটূক্তি করছেন এবং জিনিসপত্রে আগুন দিচ্ছেন। ভিএইচ১ এবং এমটিভি পরে এই গানটি নিষিদ্ধ করে।
পপ আইকন রোম সফরের সময় সেখানকার ধর্মীয় নেতাদের ক্রুদ্ধ করেছিলেন। জানা যায়, কনসার্টে ‘লাইভ টু টেল’ গাওয়ার সময় তিনি ক্রুশে ঝুলছিলেন! অনেক রোমান ক্যাথলিক, মুসলিম এবং ইহুদি নেতা তার কনফেশনস ট্যুর কনসার্টের প্রতিবাদ করতে একত্রিত হয়েছিল যেখানে তিনি কাঁটার একটি নকল মুকুট পরেছিলেন।
কথিত আছে, এমডিএনও সফরের সময় তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে কনসার্টে দর্শকদের সামনে তার খালি স্তন উন্মুক্ত করেছিলেন। চার সন্তানের মা হওয়ার পরেও মঞ্চে এই ধরনের কাজ করার জন্য তিনি অনেকের দ্বারা সমালোচিত হন। এই কনসার্টে তিনি শেষ পর্যন্ত ‘নো ফিয়ার’ লেখা একটি অস্থায়ী ট্যাটু প্রকাশ করেছিলেন।
করোনা মহামারী নিয়েও মন্তব্য করতে ছাড়েন নি ম্যাডোনা। তিনি ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, করোনাভাইরাস হল ‘দ্য গ্রেট ইকুয়ালাইজার’।