সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় জীবনের শেষদিকে কিছু সিনেমায় কাজ করে গেছেন। সেইসব সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহ যে কতোটা বেশি টের পাওয়ালো নন্দিতা-শিবপ্রসাদ পরিচালিত ‘বেলাশুরু’। ছবিটি মুক্তি পেতেই হলে হামলে পড়ছেন দর্শক। কলকাতার গণমাধ্যমগুলো বলছে, খুব ভালো চলছে ছবিটি।
‘বেলাশেষে’ সিনেমা দিয়ে দীর্ঘদিন পর সৌমিত্র ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে পর্দায় ফিরিয়ে এনেছিলেন নন্দিতা-শিবপ্রসাদ পরিচালক জুটি। সেই সিনেমা নিয়ে কি হইচই হয়েছিল সেটা তো ভুলবার নয়। আবারও তারা হাজির হলেন ‘বেলাশুরু’ নিয়ে। এখানেও প্রয়াত দুই তারকা মুগ্ধ করেছেন তাদের অনুরাগীদের।
আনন্দবাজার অনলাইন কলকাতার বেশ কিছু হল মালিকদের বরাতে জানায়, ছবিটি সুপারহিট হওয়ার পথে। তারমধ্যে নবীনা প্রেক্ষাগৃহের মালিকের বরাত দিয়ে জানায়, ‘বেলাশুরু’র দর্শক দেখে অবাক সবাই। তিনি বললেন, ‘এমন দর্শকদের এই ছবি দেখতে আসতে দেখছি যাদের গত তিন বছর দেখতেই পাইনি।’
ছবির পরিবেশক বাবলু দামানি বলেন, ‘যে পরিবারের কথা মানুষ আজ ভুলতে বসেছে, সেই পরিবার যে কত জরুরি তা ‘বেলাশুরু’ বুঝিয়ে দিচ্ছে। শহর হোক, গ্রাম হোক, যে কোনও মানুষ এই ছবি দেখবে। দেখছেও।’
জানা গেল, ‘বেলাশুরু’ ছবির ঝুলিতে মুক্তির পর তিন দিনের আয় ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি। ছবির পরিচালকদ্বয়ের একজন শিবপ্রসাদ বলছেন, ‘আমাদের ছবি ‘পোস্ত’, ‘প্রাক্তন’, ‘হামি’ সবাইকে ছাড়িয়ে বাণিজ্যিক দিক থেকে এগিয়ে গেল ‘বেলাশুরু’। তবে বাংলা ছবিকে আরও ব্যবসা করতে হবে।’
বাংলায় ১০৫টি প্রেক্ষাগৃহে ‘বেলাশুরু’ মুক্তি পেয়েছে। পরিবেশক বাবলু দামানি জানাচ্ছেন, খুব শিগগিরই অন্যান্য রাজ্যেও ‘বেলাশুরু’ মুক্তি পাবে।
এ ছবিতে সৌমিত্র-স্বাতীলেখা ছাড়াও অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, অপরাজিতা আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী দত্ত, শঙ্কর চক্রবর্তী, মনামী ঘোষ, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।