চলতি মাসের ১৫ তারিখ শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীতে শোক জানিয়ে ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। বিষয়টি নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন তিনি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানানোর বিষয়টি কোনো রাজনৈতিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকাই সিনেমার এই সুপারস্টার।
গণমাধ্যমে শাকিব খান বলেন, ‘দেখুন, এখন আমাদের দেশে তো সব সেক্টরে সংস্কার চলছে। বিশ্বাস ছিল আমাদের চিন্তা-ভাবনাতেও এই সংস্কার প্রতিফলিত হবে। এমন প্রেক্ষাপটে দল-মত-নির্বিশেষে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সব শহীদের যেমন স্মরণ করা উচিত, তেমনি দেশের জন্য অতীতে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন জাতির সেসব শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরও সম্মান জানানো উচিত। তাদের স্মরণে শ্রদ্ধা প্রদর্শন কোনো রাজনৈতিক দলের সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ থাকা উচিত নয়। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা সব সময় রাজনীতির ঊর্ধ্বেই থাকুক।’
ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে অনেক সময় আমাদের জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নাম, সম্মান এবং ত্যাগ শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। এটা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। যারা আমাদের দেশ ও মানুষের জন্য জীবনের সর্বস্ব দিয়েছেন, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। তাদের নিয়ে বিভাজন তৈরি নয়, বরং আমাদের সম্মিলিত একতা ও সংহতি গড়ে তোলা উচিত। দেখুন, আমি শাকিব খান কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। কোনো রাজনৈতিক পদ বা দায়িত্বও আমার নেই।’
রাজনীতিতে যোগদানের প্রস্তাব বিভিন্ন সময়ে পেয়েও সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন জানিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময়ে আমাকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার অফার করা হয়েছে, কিন্তু শুধু সিনেমার কথা ভেবে আমি সচেতনভাবে এড়িয়ে গিয়েছি। এমনকি কোনো ধরনের পলিটিক্যাল সুযোগ-সুবিধা নিইনি। বরং অনেক সময় আমাকেই কর্ম থেকে ব্যক্তিজীবনে পলিটিক্যাল লোক দ্বারা অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, সেটা তো সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে কারো অজানা থাকার কথা নয়।’
নিজের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার পোস্ট কাউকে মনঃক্ষুণ্ণ করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। যারা এটাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ন্যারেটিভ খুঁজছেন, তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং কর্ম সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের জন্য।’