প্রথমবারের
মতো কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েই নজর কাড়লেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। আন্তর্জাতিক প্রসাধনী সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে তিন দিনব্যাপী উৎসবে অংশ নেওয়া এই তারকা প্রতিটি
সাজেই প্রশংসা কুড়িয়েছেন। কখনও তার গাউন ঢাকা পড়েছে লাখো গোলাপের পাঁপড়িতে, কখনও বা কালো পোশাকে
জ্বলজ্বল করেছেন রাতের আকাশের নক্ষত্রের মতো। আর কখনও বহুমূল্য
পাথরের শাড়িতে মোহিত করেছেন দর্শকদের।
তবে
সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে শেষ দিনের সাজ। বেইজ রঙের জালবোনা শাড়ি, যাতে বসানো ছিল ঝকঝকে পাথর, আর তার সঙ্গে
মানানসই গয়নায় এক অনন্য আবির্ভাব
ঘটে আলিয়ার। বিশেষভাবে তৈরি এই শাড়িটি তৈরি
করেছিল একটি আন্তর্জাতিক পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান, যারা এই প্রথমবার শাড়ি
ডিজাইন করল আলিয়ার জন্য। সেই শাড়ির সঙ্গে গলায় ছিল মূল্যবান ডায়মন্ডের নেকলেস।
লাল
গালিচায় পা রেখে ক্যামেরার
দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছিলেন, হাসছিলেন, আবার অনুরাগীদের জন্য স্বাক্ষর দিচ্ছিলেন আলিয়া—সব মিলিয়ে প্রাণবন্ত
ও আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি। কিন্তু ঠিক তখনই ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা। হঠাৎ
করেই ছিঁড়ে যায় তার গলায় থাকা হীরার নেকলেস। প্রথমে বিষয়টি তিনি বুঝতে না পারলেও, পরে
টের পেয়ে দ্রুত গলার হারটি হাতে চেপে ধরেন।
আলিয়া
এতটাই স্বাভাবিক ভঙ্গিতে গলায় হাত রাখেন যে, প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন এটি কেবল ক্যামেরার জন্য একটি স্টাইলিশ পোজ। পরে দেখা যায়, নেকলেসটির একাংশ ভেঙে ঝুলে আছে গলায়।
এই
ঘটনার পর আলিয়ার উপস্থিত
বুদ্ধি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ
নেটিজেনরা। তবে অন্যদিকে, অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেকলেস প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে, এমন ঘটনার জন্য। যদিও পুরো পরিস্থিতি অত্যন্ত স্মার্টভাবে সামাল দিয়ে আলিয়া আবারও প্রমাণ করেছেন নিজের তারকাখ্যাতির যথার্থতা।
প্রথমবার
কান চলচ্চিত্র উৎসবে এসে এমন ঘটনার মধ্যেও দারুণ সাবলীল ও আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিমায়
নিজেকে তুলে ধরে প্রশংসা কুড়িয়েছেন কাপুর পরিবারের পুত্রবধূ।