ঢাকার
নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এ চিত্রনায়িকা
পরীমণির করা শ্লীলতাহানির মামলায় আসামিদের পক্ষে তাকে জেরা করার কথা থাকলেও আদালতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। সোমবার (২৬ মে) বিচারক
শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে
এ জেরা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
সকাল
১১টা ৫ মিনিটের দিকে
আদালতে উপস্থিত হন পরীমণি। পরে
আদালত থেকে জানানো হয়, মামলার শুনানি বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি নিজ গাড়িতে অপেক্ষা করতে থাকেন। বিকেল পর্যন্ত গাড়িতেই অবস্থান করছিলেন পরীমণি। এ সময় হঠাৎ
করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) আদালতে সময়ের আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে
জেরার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।
পরীমণির
আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, “আজ পরীমণিকে জেরা
করার দিন ধার্য ছিল। তিনি আদালতে হাজির হয়েছিলেন, কিন্তু হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করেন। আমরা সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করেন।”
২০২১
সালের ৮ জুন রাতে
ঢাকার অদূরে বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়ে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণচেষ্টা এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তোলেন পরীমণি। এ ঘটনার ছয়
দিন পর, ১৪ জুন তিনি
সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী
অমির নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা
আরও চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলার
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত
কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলেন—নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম।
এরপর ১৩ ডিসেম্বর আদালত
অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
পরে
২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল নাসির
ও অমির পক্ষে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়, যা বাদীপক্ষ ও
রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করে। ১৮ মে আদালত
আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একই বছরের ২৯ নভেম্বর এ
মামলায় পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
২০২৩
সালের ২৪ জুলাই আদালতে
জবানবন্দি দিতে দ্বিধা প্রকাশ করেন পরীমণি। তার আইনজীবীর ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন আদালত গ্রহণ করে। পরে ওই বছরের ২২
সেপ্টেম্বর তার জবানবন্দি রেকর্ড সম্পন্ন হয়।