রাজধানীর
ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্তি
পেয়েছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল
সাড়ে ৩টার দিকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এর
আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান তার আইনজীবীদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেন।
কারামুক্ত
হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন ফারিয়া। সেখানে তিনি লেখেন, "সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা যারা আমার পাশে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আজ কথা বলতে
পারিনি। তবে সুস্থ হয়ে খুব শিগগিরই আপনাদের মাঝে ফিরে আসব।"
জেলহাজতে
কাটানো সময়কে জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। স্ট্যাটাসে লেখেন, "জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি এই দুইটা দিন।
মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলাম। তবে এই সময়টাতে যারা
নির্ভরতার জায়গায় ছিলেন, সহমর্মিতা দেখিয়েছেন—তাদের প্রতি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব।"
তিনি
আরও বলেন, “আমার সহকর্মী, ইন্ডাস্ট্রির মানুষ, এমনকি সাধারণ মানুষ যাঁরা আমার হয়ে, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন—তাদের ভালোবাসা আমি কখনো ভুলবো না। আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো
এত দ্রুত মুক্তি পেতাম না।”
-682c7640a81d6.png)
বিশেষভাবে
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লেখেন, “তাদের এই সাপোর্টটা আমার
জন্য খুব দরকার ছিল। আমি চিরকাল মনে রাখব, মিডিয়া আমার পাশে ছিল।”
এর
আগে রোববার দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে ডিএমপির ভাটারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার
সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই
'জুলাই আন্দোলন' চলাকালে ভাটারা থানার সামনে অবস্থান করছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই সময় গুলিবর্ষণের ঘটনায় এনামুল হক নামের একজন
আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হন এবং তাকে
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। এই ঘটনায় ঢাকার
সিএমএম আদালতে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা
আরও তিন থেকে চার শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
মামলার
এজাহারে চলচ্চিত্র শিল্পের তারকা অপু বিশ্বাস, ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া ও জায়েদ খানসহ
মোট ১৭ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীর নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।