অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালতে তাকে হাজির করা হলে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মুরাদ হোসেন, নোবেলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষ তার জামিন আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডেমরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডেমরা থানা সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়। এরপর মাঝে মধ্যে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে দেখা করার পর, স্টুডিও দেখানোর কথা বলে নোবেল ভুক্তভোগীকে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান এবং সেখানে ২-৩ জন সহযোগীর সহায়তায় তাকে আটক রাখেন।
অভিযোগে বলা হয়, ওই সময় নোবেল ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় তাকে মারধর ও ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সোমবার (১৯ মে) পর্যন্ত তাকে জিম্মি করে রাখা হয়।
এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেখে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে শনাক্ত করে এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চায়। পরে ডেমরা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে এবং নোবেলকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। তাকে চিকিৎসা ও সহায়তার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালেও প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলায় নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এবার আরও গুরুতর অভিযোগে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।