জনপ্রিয়
অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের
আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তার সৎ মা নিশি
ইসলামের দায়ের করা মামলায় এই আদেশ দেওয়া
হয়েছে। একই মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার
(এডিসি) নাজমুলসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলাটি
গত ১৩ মার্চ ঢাকার
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করেন নিশি ইসলাম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে
সমন জারি করেন এবং শুনানির জন্য ২২ এপ্রিল তারিখ
ধার্য করেন। ২২ এপ্রিল শুনানি
শেষে আদালতের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ ১০ জন অনুপস্থিত
আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আসামিদের
মধ্যে পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপ-পরিদর্শক
শাহ আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে, আদালতে হাজির না হওয়ায় বাকি
১০ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। এই আসামিদের মধ্যে
আছেন ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, মেহের আফরোজ শাওন, তার ভাই মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, শিঞ্জনের স্বামী সাব্বির, সেঁজুতি, সাবেক এডিসি নাজমুল, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ এবং
মোখলেছুর রহমান মিল্টন।
মামলার
বিবরণে বাদী নিশি ইসলাম অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার
মো. আলী তার পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে তাকে বিয়ে করেন। পরে তিনি জানতে পারেন, আলীর আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি শাওনের
ভাই শিঞ্জন ও তার স্বামী
বাদীর বাড়িতে এসে এই সম্পর্ক গোপন
রাখার জন্য তাকে হুমকি দেন।
৪
মার্চ মো. আলী অসুস্থতার কথা বলে বাদীকে গুলশানের বাসায় যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে বাদী আলীর আগের স্ত্রীর উপস্থিতি দেখে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হন। তখন তাকে বাসা থেকে বের করে দেন অন্যান্য আসামিরা।
পরদিন,
শাওন, নাজমুল ও আরও কয়েকজন
আসামি বাদীর বাসায় গিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতে চেষ্টা করেন। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন তাকে মারধর করেন, এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং তখন আসামিরা পালিয়ে যান।
এরপর
২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেওয়া হয়, যেখানে পুনরায় শাওনসহ অন্যরা তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। ওই সময় ডিবি
প্রধান হারুন অর রশিদ বাড্ডা
থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মাদক মামলার নির্দেশ দেন। পরে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয় বলে দাবি
করেন নিশি ইসলাম।