বাংলা
নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের তারকারাও।
সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে
নিজেদের
নববর্ষ উদযাপনের
মুহূর্তগুলো
শেয়ার করে ভক্ত-অনুরাগীদের
সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি
করেছেন অনেকেই।
এদিন
ছোট পর্দার জনপ্রিয়
অভিনেত্রী
আশনা হাবিব ভাবনা নিজের বর্ষবরণ
উৎসবের ছবি শেয়ার করেছেন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে।

ছবিতে দেখা যায়, তিনি পরেছেন একটি ঐতিহ্যবাহী
জামদানি
শাড়ি। শাড়িতে তার সৌন্দর্য
যেন আরও ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য
করছেন নেটিজেনরা।
ফটোশুটের
মুহূর্তগুলো
অনেকেই প্রশংসা
করেছেন, জানিয়েছেন
শুভ নববর্ষের
শুভেচ্ছা।
-67fe0797e6910.png)

ভাবনা
নিজের পোস্টে একটি কবিতার ছন্দে বর্ষবরণের
অনুভূতি
প্রকাশ করেন। লেখেন রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের
বিখ্যাত
পঙ্ক্তি—
“হে
নূতন, এসো তুমি সম্পূর্ণ
গগন পূর্ণ করি
পুঞ্জ
পুঞ্জ রূপে--
ব্যাপ্ত
করি, লুপ্ত করি, স্তরে স্তরে স্তবকে স্তবকে
ঘনঘোরস্তূপে।
কোথা
হতে আচম্বিতে
মুহূর্তেকে
দিক্ দিগন্তর
করি
অন্তরাল
স্নিগ্ধ
কৃষ্ণ ভয়ংকর তোমার সঘন অন্ধকারে
রহো
ক্ষণকাল।”
পাশাপাশি
তিনি সবাইকে জানিয়েছেন,
“শুভ নববর্ষ”।

এদিকে
বর্ষবরণের
কেন্দ্রীয়
আয়োজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
চারুকলা
অনুষদ আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা
এবছরও ছিল বর্ণিল ও তাৎপর্যপূর্ণ।
ঐতিহ্যবাহী
মুখোশ, রঙিন প্ল্যাকার্ড
ও পোস্টারের
পাশাপাশি
এবারের শোভাযাত্রায়
উঠে এসেছে বিশ্বসংহতির
বার্তাও।
বিশেষভাবে,
ফিলিস্তিনের
প্রতি সংহতি প্রকাশে
শোভাযাত্রায়
ব্যবহৃত
হয়েছে ফিলিস্তিনের
জাতীয় পতাকা এবং তাদের সাংস্কৃতিক
প্রতীক— তরমুজের
ফালি।
এছাড়া
এবারের শোভাযাত্রায়
প্রদর্শিত
হয় মোট ২১টি শিল্পকর্ম—
যার মধ্যে ছিল ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফ। এবারের মূল মোটিফ ছিল ‘স্বৈরাচারের
প্রতিকৃতি’,
যা দর্শনার্থীদের
মাঝে কৌতূহল ও আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
অন্যান্য
শিল্পরূপে
ছিল পায়রা, মাছ, বাঘ, এবং আলোচিত চরিত্র ‘মুগ্ধর পানির বোতল’— যা সাম্প্রতিক
সময়ে সামাজিক
মাধ্যমে
আলোচনার
কেন্দ্রে
ছিল।