মডেল
ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ (১১
এপ্রিল) ডিএমপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো
হয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে মিথ্যাচার ছড়ানো এবং দেশের আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত
করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মেঘনা আলমকে নিরাপত্তাজনিত হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে
আরও উল্লেখ করা হয়, মেঘনাকে আইন অনুযায়ী সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে, তার আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে, যা সংবিধানস্বীকৃত।
-67f8db23702ba.png)
এর
আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায়
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করে পুলিশ। আটকের কিছুক্ষণ আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে জানান, ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরিচয়ধারীরা তার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করছে। প্রায় ১২ মিনিট স্থায়ী
সেই লাইভটি হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে তা মুছে ফেলা
হয়।
পরদিন
বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনাকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ। আদালত ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের জন্য
আটকাদেশ প্রদান করে। আদালতের আদেশে বলা হয়, বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২(এফ) ধারা
অনুযায়ী জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার পরিপন্থী
কর্মকাণ্ড থেকে তাকে নিবৃত্ত করতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই তাকে আটক রাখা জরুরি মনে করা হয়েছে। একই আইনের ৩(১) ধারায়
তাকে আটক রাখার আদেশ দেয়া হয়, এবং পরবর্তীতে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য,
ডিটেনশন আইন অনুযায়ী সরকার কোনো ব্যক্তিকে আদালতের আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক রাখতে পারে, যদি তার কার্যক্রম জননিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কিংবা আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি মনে করা হয়।
প্রসঙ্গত,
মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর ‘মিস
আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। পরিবেশবান্ধব উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে প্লাস্টিক পুনঃব্যবহার করে নতুন পণ্য তৈরি ও বিক্রয়ের মাধ্যমে
নারীদের স্বাবলম্বী করার ধারণাকে এগিয়ে নিতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন
করা হয়েছিল।