অঞ্জন দত্ত, যিনি তার চোখ ধাঁধানো অভিনয় এবং পরিচালনায় বাঙালি দর্শকদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন, সংগীত জগতে তার অনবদ্য খ্যাতির জন্যও পরিচিত। ৪৫ বছর ধরে ক্যামেরার সামনে কাজ করলেও তার অভিনীত ছবির সংখ্যা মাত্র ২৫টি।
এতদিন পর কিছুটা আফশোস নিয়ে অঞ্জন দত্ত বলেন, “একটা কমার্শিয়াল ছবিতে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। সেটাই ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতি’-র অফার গ্রহণের অন্যতম কারণ।” এই ছবিতে প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করেছেন বাংলা ছবির দুই নক্ষত্র, অঞ্জন দত্ত এবং মিঠুন চক্রবর্তী। ছবিটি পরিচালনা করেছেন পথিকৃৎ বসু।
ছবিটি নিয়ে অঞ্জন দত্ত বলেন, “এতে মিঠুন একটি নিরীহ, গোবেচারা চরিত্রে অভিনয় করেছেন, আর আমি মারে ফাটিয়ে দিচ্ছি। এটি সত্যিই একটি দারুণ ইন্টারেস্টিং বিষয়।” তিনি আরও জানান, “আমি ২৩ বছর বয়সে মৃণাল সেনের হাত ধরে অভিনয়ে এসেছিলাম। তখন মেনস্ট্রিম ছবির ধরন বুঝতে পেরে মনে হয়েছিল, এই চেহারা নিয়ে আমি স্টার হতে পারব না। তখনই ঠিক করেছিলাম, আমি অভিনেতা হব।”
অঞ্জন দত্ত বলেন, "খুব বেশি কাজ পায়নি, আসলে তখন নিজে বেছে নিয়েও কাজ করতে হয়েছে। পয়সা কম ছিল, তার ওপর পছন্দের কাজের সাথে আপোস করে খারাপ, অবাস্তব মেনস্ট্রিম ছবিতে কাজ করতে চাইনি। এ কারণেই গানের দিকে মনোনিবেশ করি। আজ পর্যন্ত মাত্র ২৫টা ছবিতে অভিনয় করেছি।"
তার ভাষায়, "বয়স বাড়ছে, কিন্তু আমি মনে করি, জীবনটা আসলে সেলিব্রেশনের মতো। পুরোনো ফল বা পুরোনো ওয়াইনেরই তো কদর বেশি। বয়স বাড়লে মন্দ কী?"