এ ব্যাপারে সংষ্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী একটি গত ২৮ মার্চ ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে জানান দেন রাজধানীবাসীর এবারের ঈদ আয়োজন। 

পোস্টে তিনি লেখেন ‘চাঁদ রাতের ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি।’ 

পোস্ট দিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘দুইটা গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঘটনা। চাঁদ রাতের ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠান, আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমি। ‘কথা কইও না’ ‘সাদা সাদা কালা কালা’ খ্যাত ইমন ও বেঙ্গল সিম্ফনী, ন্যান্সি, এবং কাওয়াল আমেরী। সাথে মেহেদী উৎসব।’

তিনি আরও লেখেন, ‘ঈদের দিন সিটি করপোরেশনের আয়োজনে ঈদ জামাত ও ঈদ মিছিল। এক সময় ঈদ মিছিলের চল ছিলো। আবার ফিরে আসলো এবার থেকে। চলে আসুন সবাই, এই দুই অনুষ্ঠানেই।’

গতকাল (২৯ মার্চ) উপদেষ্টা ফারুকী আরেকটি পোস্ট দেন সেখানে দেখা যায় ইমন চৌধুরীর বেঙ্গল সিম্ফনি রিহার্সেল করছে। আর ক্যাপশনে ফারুকী লিখেছেন, অনেকেই জিজ্ঞেস করেন বাংলাদেশ ২.০ কেমন হবে?

এইরকম ভাই ও বোনেরা।

বহুবছর পর নতুনভাবে পুরনো ঐতিহ্যে ঈদ উদযাপন করার জন্য প্রস্তুত ফাঁকা ঢাকায় রাজধানীবাসী। 

এ ব্যাপারে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ মিছিল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছেন।

ঢাকার পুরনো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে এবার ঈদ নামাজ শেষে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে, জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ মিছিল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছেন। 

আজ (৩০ মার্চ) সকালে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ঈদের দিন নামাজ শেষে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। মিছিলটি পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ হয়ে সংসদ ভবনে গিয়ে শেষ হবে। মিছিলে ২০টির মতো ঘোড়ার গাড়ি থাকবে এবং এতে অংশ নেবে ব্যান্ড পার্টি ও মোঘল চিত্রকলা। নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

এছাড়া তিনি জানান, মিছিলে মোবাইল, জায়নামাজ, ওয়ালেটের বাইরে ভারি কিছু নেয়া যাবে না, এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পতাকা নিয়ে মিছিলে অংশ নেয়া যাবে না, অন্যথায় তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।

এদিকে, পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে দুইদিনব্যাপী একটি ঈদ মেলা আয়োজিত হবে, যেখানে ২০০টির মতো স্টল থাকবে। মেলায় নানা ধরনের পণ্য, খাবার, চটপটি এবং বাচ্চাদের জন্য নাগরদোলা ও খেলার ব্যবস্থা থাকবে।