সাভারের আশুলিয়ায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি হামলার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।
আজাদ জানান, রান্নাঘরের দিকে যাওয়ার সময় দরজায় ঠকঠক শব্দ পান। দরজা খুলে দেখেন, দুজন লোক হাতে পিস্তল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বুঝতে পারেন, তারা গুলি করতে পারে। মায়ের ও স্ত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি তাদের থামাতে উদ্যত হন।
তিনি বলেন, "আমি দৌড়ে গিয়ে একজনের হাত ধরি এবং আরেকজনকে ধাক্কা দিই, যাতে তারা গুলি করতে না পারে।" এরপর দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আজাদের মা ও স্ত্রীও হামলাকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
হামলাকারীর হাতে পিস্তলের পাশাপাশি একটি স্ক্রু ড্রাইভারও ছিল। ধস্তাধস্তির সময় সে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে আজাদের মাথা ও হাতে আঘাত করে। একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং তার ডান পায়ে গুলি করে।
আজাদ আরও বলেন, "আমার মা আর ওয়াইফকে যেন গুলি করতে না পারে, দৌড়ে গিয়ে ওর হাত ধরি। কয়েক মিনিট ধস্তাধস্তি হয়।"
গুরুতর আহত হওয়া সত্ত্বেও আজাদ হামলাকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান। হামলাকারীরা তাকে আরও দুইবার গুলি করে, যার একটি তার বাঁ পায়ে এবং অন্যটি হাঁটুর ওপরে লাগে। এসময় আজাদের স্ত্রীও হামলাকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, "তিনটা গুলি লাগার পর আমি আর ব্যালান্স রাখতে পারছিলাম না। তারপরও ভর দিয়ে দাঁড়াই। ওই মুহূর্তে ওরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। জানালা কেটে যেদিক দিয়ে আসছিল, সেদিক দিয়ে দৌড়ে পালায়। আমরা চিৎকার–চেঁচামেচি করতে থাকি। পাশের বিল্ডিংয়ের মানুষেরাও শব্দ শুনে ছুটে আসে। মাত্রাতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের কারণে লুঙ্গি দিয়ে বেঁধে নিই। আমার স্ত্রীরও ব্লিডিং হচ্ছিল।"