অর্থকড়ি সব
হারিয়ে অনেকেই সন্ন্যাসী হয়ে যান। এদিকে বলিউডের ৯০ দশকের নায়িকা বারখা মাদান অভিনীত ‘খিলাড়িওঁ কা খিলাড়ি এবং ‘ভূত' দু'টি সিনেমাই
বক্স অফিসে সাফল্য পায়। তবুও একসময়ে বিকিনি
পরে উষ্ণতা ছড়ানো এই নায়িকা এখন পুরোপুরি সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন।
অক্ষয় কুমার
ছিলেন তার প্রথম সিনেমার নায়ক। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সুস্মিতা সেন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
সিনেমাপ্রেমীদের
মুখে মুখে ছিল বারখা মাদান। বিশেষ করে এই পাঞ্জাবি কন্যার বিকিনি পরিহিত ছবি ভক্তদের
হৃদয়ে দোলা দিত।
সেই নায়িকা
আজ সব ছেড়েছুঁড়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনী হয়েছেন। তার স্থায়ী ঠিকানা এখন পাহাড়ের কোলে গড়া
এক বৌদ্ধ মঠ। সম্প্রতি তার সন্ন্যাসিনী বেশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে
গেছে।
সেই ছবিতে
দেখা গেছে মাথা ন্যাড়া করে গেরুয়া বসনে বারখা মাদান। তার নতুন নাম এখন গ্যালটেন সামটেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম
সূত্রের খবর, তিব্বতের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী দালাই লামার থেকে দীক্ষা নিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
তার চোখে মুখে দেখা গেছে প্রশান্তির ছোঁয়া।
কেন সাবেক
এই নায়িকা জগতসংসারের (পড়ুন শোবিজ অঙ্গন) মায়ামোহ ত্যাগ করে সন্ন্যাসিনী হলেন?
সাবেক এই
অভিনেত্রীর দাবি, ‘পাঞ্জাবি হলেও মনে মনে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি বরাবরই আকর্ষণ ছিল। ধর্মগুরু
দলাই লামা ছিল অতি প্রিয়। বলিউডে থাকাকালীন অন্তর থেকে আধ্যাত্মিক টান অনুভব করতাম।
একটা সময়ের পর প্রিয় ধর্মগুরুর থেকে দীক্ষা নিলাম। মস্তক মুণ্ডনের পর নতুন নাম নিয়ে
যেন নবজন্ম হয়েছে।’
বারখা বিশ্বাস
করেন, ‘যে সয় সে রয়। একমাত্র ধৈর্যই পারে মনকে স্থির রাখতে। স্থির জল যেমন আয়নার মতো
স্বচ্ছ।’