জারা ডার,
কম্পিউটার সায়েন্সের উপর পিএইচডি করছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার হয়েও তিনি অনলি ফ্যানসে কন্টেন্ট
বানিয়ে ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকার বেশি আয় করেন। বাড়ির সমস্ত ধার দেনা শোধ করেছেন। এডুকেশন
সংক্রান্ত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে বেশ সুপরিচিত নাম জারা ডার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও বানাতেন তিনি।
তবে
সম্প্রতি জারা জানান, পিএইচডি ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যে ভিডিও বানানোকে নিজের পেশা হিসাবে বেছে নিতে চলেছেন।
ইউটিউবে
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি নানা প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ভিডিও করতেন জারা। লেখাপড়াই ছিল তার ভিডিওর প্রধান বিষয়বস্তু। নিজেও পিএইচডি করছিলেন। ভবিষ্যতে অধ্যাপিকা হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝে আচমকাই সিদ্ধান্তের ব্যাপক বদল।
প্রাপ্তবয়স্কদের
জন্যে ভিডিও বানানো শুরু করেন। এবার সেটাই পাকাপাকিভাবে নিজের পেশা বানাতে চলেছেন জারা।
অধ্যাপিকা থেকে সোজা ‘পর্ন' তারকা বনে গেলেন।
বর্তমানে
জারার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা লক্ষাধিক। বিভিন্ন গাণিতিক সমাধান, মেশিন
লার্নিং এবং নিউরাল নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত ভিডিও নিজ চ্যানেলে আপলোড করতেন তিনি।
তবে সম্প্রতি
সময়ে ইউটিউবের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবাসাইটেও গণিত, নিউরাল নেটওয়ার্ক ও মেশিন
লার্নিং-এর কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করেছেন।
এ
বিষয়ে জারা জানিয়েছেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, এবং গাণিতিক সমাধানের ভিডিও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিশেষ প্লাটফর্মে তিনি আপলোট করছেন। কারণে ইউটিউবের আয়ের তুলনায় অ্যাডাল্ট প্লাটফর্মের আয় প্রায় তিন
গুণ বেশি।
জারা
দাবি করেছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটে প্রতি ভিডিও ১০ লাখ বার
দেখার জন্য ৮৬ হাজার টাকা
আয় করা সম্ভব। সেখানে ইউটিউব একই সংখ্যক দর্শকের জন্য মাত্র ২৯ হাজার টাকা
পেতেন তিনি।
অনেকেরই ধারণা
তিনি পাকিস্তানি, এই বিষয়টি যে ভুয়ো তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জারা বলেন, আমার আসল
নাম ডার্সি। আমি আমার নাম ব্যবহার করি 'ডর'। ইউটিউবে আমি আমার নাম জারা ডর ব্যবহার
করি, যার ফলে অনেকেই একজন পাকিস্তানি বিউটি, ইনফ্লুয়েন্সারের সঙ্গে আমাকে গুলিয়ে
ফেলেন। তবে আমি ওঁকে যথাযথ সম্মান দিয়েই জানাচ্ছি, আমি পাকিস্তানি নই। আমি আমেরিকান।
আমি প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের আদলে বড় হয়েছি। আমি আমেরিকান, পার্সিয়ান, দক্ষিণ ইউরোপিয়ান,
পশ্চিম এশীয় এবং ভারতীয় পটভূমিকায় জন্মেছি এবং বেড়ে উঠেছি।