আজ (১০ জানুয়ারি)
সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে
যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাওয়ার সময় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা ও বাংলাদেশ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার এর পাসপোর্ট
অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয় তারা।
ছাড়া পেয়েই
দেশের একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন নিপুণ। পুলিশ হেফাজতে কাটানোর বিষয়টি অস্বীকার
করে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বনানীর বাসায় আছি। এই খবর ভুয়া। এর বাইরে এ বিষয়ে আমি আর
কোনো কথা বলতে চাই না। ফালতু সব বিষয়।’
তবে
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ
গণমাধ্যমকে জানান, সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল
১০টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে
যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে গিয়েছিলেন নিপুণ। এ সময় গোয়েন্দা
সংস্থার আপত্তিতে তাকে
আটকে দেওয়া হয়। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করা হয় তাকে।
সিলেট
মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামও বলেন, যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য নিপুণ সড়কপথে সিলেটে এসেছিলেন। কিন্তু ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়ার পর তিনি
আর ওই বিমানে উঠতে
পারেননি। পরে বিমানবন্দর থেকে তিনি সড়কপথে
ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
গত ৫ আগস্ট
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন
শোবিজের পরিচিত মুখ নিপুণ। এরপর আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি এ অভিনেত্রীকে। অনেকের ধারণা
ছিল, গ্রেপ্তার আতঙ্কে নিপুণ দেশে ছেড়েছেন। তবে একটুর জন্য পালাতে পারলেন না এই অভিনেত্রী।