আজ থেকে প্রায়
৫০ বছর আগে সর্বপ্রথম চিত্রনায়িকা হয়ে বিএফডিসিতে এসেছিলেন অঞ্জনা রহমান। অর্ধশতাব্দী
পর আজ (৪ জানুয়ারি) শেষবারের মত তিনি এলেন চিরচেনা কর্মস্থলে, কফিনের মধ্যে শুয়ে।
চিরচেনা কর্মস্থল
বিএফডিসিতে নায়িকা অঞ্জনার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ (৪ জানুয়ারি) তার প্রথম
জানাজায় অংশ নেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা।
এ
সময় অশ্রুসিক্ত চোখে অভিনেত্রী মুক্তি বলেন, অঞ্জনা আন্টির মতো এমন মানুষ চলচ্চিত্রে পাওয়া দুষ্কর। তিনি হুট করে এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন, মেনে নিতে পারছি না। সবাই আন্টির জন্য দোয়া করবেন।
এর
আগে, আজ (৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত,
নায়িকা অঞ্জনা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি।
অঞ্জনা রহমানের
প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা 'দস্যু বনহুর' (১৯৭৬)। অবশ্য তিনি প্রথম অভিনয় করেন বাবলু
চৌধুরী পরিচালিত 'সেতু' চলচ্চিত্রে। অঞ্জনা রহমান
তার ক্যারিয়ারে ৩ শতাধিক চলচ্চিত্রে
কাজ করেছেন। ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। এছাড়া মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।