দেশব্যাপী
আপামর ছাত্র-জনতা গত বছর যখন স্বৈরাচারী সরকার পতনের আন্দোলনে রাজপথে নেমে পুলিশের
গুলির আঘাতে প্রাণ দিচ্ছিল, আহত হচ্ছিল তখন দেশের অনেক নামীদামী তারকা নিরব ভূমিকা
পালন করে। এর মাঝেও শোবিজ অঙ্গনের অনেক ব্যক্তি সরব ছিলেন। কেউ কেউ নেমেছিলেন রাজপথেও।
তবে সঙ্গীতাঙ্গণের কথা বলতে গেলে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন দুই তরুণ
র্যাপার হান্নান হোসাইন শিমুল এবং মোহাম্মদ সেজান। তাঁদের দুই গান ' কথা ক' এবং আওয়াজ
উডা' তরুণদের মনে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সেই সাহসী অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ এবার
এই দুই র্যাপারের ঠাঁই হল পাঠ্যবইতে।
সপ্তম
শ্রেণির পাঠ্যবইতে বলা হয়েছে, আপনি কি সেজানের ‘কথা
ক' গানটি শুনেছেন? আগের প্রজন্মের শিল্পীরা গানকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করতে ভয় পেলেও সেজান
ও হান্নানের মতো শিল্পীরা সে সাহস দেখিয়েছেন।
'নতুন
প্রজন্ম' শিরোনামে
ইংরেজি পাঠ্যবইয়ের সেই লেখায় বলা হয়েছে, তাদের র্যাপ গানগুলো
২০২৪ সালের জুলাই বিদ্রোহের সংগীতে পরিণত হয়েছিল। নতুন প্রজন্ম আর ভয় পায়
না; তারা সাহসী এবং ব্যতিক্রম।
নারায়ণগঞ্জের
তরুণ র্যাপার হান্নানের ‘আওয়াজ উঠা' গানটি প্রকাশের মাত্র এক সপ্তাহ পরেই
২৫ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১২ দিন কারাবাস
শেষে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি মুক্তি
পান।
অন্যদিকে,
১৬ জুলাই প্রকাশের পরপরই সেজানের ‘কথা ক' গানটিও জুলাই বিদ্রোহের অন্যতম অংশ হয়ে ওঠে।
এদিকে,
পাঠ্যবইয়ে নিজের নাম দেখে আপ্লুত মোহাম্মদ সেজান ও হান্নান। হান্নান
বলেন, এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, বাংলা র্যাপ বহুত বড় ব্যাপার, এডা অহন আর আন্ডারগ্রাউন্ডে নাই। সবার
প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। এখন আমাদের গল্প বইয়ের পাতায় পড়তে পারবেন সবাই।
মোহাম্মদ
সেজান বলেন, এই র্যাপ সংগীত
করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ড্রপ করেছি। এখন স্কুলে আমাদের গল্প পড়ানো হবে। জনগণের কাছে চিরকৃতজ্ঞ আমরা।