জুলাই-আগস্টে
চলাকালীন ছাত্র-জনতার গণভ্যুত্থানের সময় মিডিয়া অঙ্গনের আওয়ামীপন্থী বেশকিছু শিল্পী
এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মিলে 'আলো আসবেই' নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হয়ে
আন্দোলন পন্ড করতে এবং আন্দোলনের মূল দাবি
ভুলপথে ধাবিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। সেখানে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়
অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিকে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিণশট
ফাঁস হলে মহাবিপদে পড়েন এই অভিনেত্রী। সহকর্মীদের তোপের মুখে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা
ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালকের পদ হারিয়েছেন। আগের বাসা থেকে নোটিশ দিয়ে তাকে বের করে
দিয়েছে বাড়িওয়ালা। সবমিলিয়ে একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন জ্যোতি।
সহকর্মীদের
তোপের মুখে পড়ে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের
পরিচালকের পদও হারান জ্যোতিকা জ্যোতি। যদিও চাকরি হারানো নিয়ে কোনো কষ্ট নেই বলেও জানান তিনি। তবে একটা সময় দেশে বিনোদন জগতের বিভিন্ন ইভেন্টে যেখানে জ্যোতিকা জ্যোতির নাম থাকত, আজ সেখানে থাকছে
না। বরং জ্যোতি এসব ইভেন্টে গেলে নাকি বাকিদের আপত্তি থাকে!
সম্প্রতি
এক ফেসবুক পোস্টে নিজের এমন দুর্বিষহ কথাগুলো আক্ষেপের সুরেই তুলে ধরেছেন জ্যোতি। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হবে,সেখানে কোনো না কোনো দায়িত্বে
থাকার কথা ছিল। আগেও ছিলাম। পরে শুনলাম দায়িত্ব তো দূরের কথা,
ফেস্টিভ্যালে আমি না গেলেই নাকি
ভালো; আরেক আমন্ত্রিত অভিনেত্রী গেস্ট বললেন জ্যোতিকা জ্যোতি এলে তিনি আসবেন না!’
জ্যোতির লেখেন,
‘এপ্রিলে এক নতুন বাসায় শিফট করলাম। আমার পরিচয় তার বাসার ভাড়াটিয়া হিসেবে তাকে
আরও গর্বিত করবে বলে জানালেন। জুলাইয়ে যখন দেশে তুমুল গণ্ডগোল তখন বড়িওয়ালা বললেন
আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব তার। আগস্টের ৬ তারিখ জানালেন, আমাকে নিয়ে সমস্যা হচ্ছে;
তার কথায় মনে হলো বাসা ছেড়ে দিলেই ভালো।’
বাড়িওয়ালা
একদিনের নোটিশে বের করে দিয়েছেন উল্লেখ করে জ্যোতি লেখেন, ‘১৬ আগস্ট আমাকে
ফোন করে বললেন আমি যেন আগামীকালই বাসা ছেড়ে দিই। তিনি কোনোকিছুতেই আমাকে সময় দিতে রাজি না। এক দিনের মধ্যে
ওই বাসায় মালপত্র রেখে আমি আমার কুকুর নিয়ে একটি গেস্ট হাউজে প্রায় ১৩ দিন থেকে
নতুন বাসা নিলাম। আমার এক বন্ধুকে পাঠিয়ে
মালপত্র সরালাম দিন দশেক পর। কিন্তু তিনি আমার ২ মাসের এডভান্স
ফেরত দিলেন না।’
সবশেষে
প্রশ্ন রেখে জ্যোতি লিখেছেন, এগুলো আসলে কী? ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না! এসব পোহাতে হবে কতদিন?