লরিন খান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোলাম হোসেন ও মুক্তা বেগম দম্পতির প্রথম সন্তান। ছোটবেলা থেকেই নাচের প্রতিই তার প্রবল আগ্রহ ছিল। যে কারণে তার স্বপ্ন ছিলো বড় হয়ে নৃত্যশিল্পী কিংবা কোরিওগ্রাফার হবেন। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় একদিন বিএফডিসিতে গিয়ে নৃত্যশিল্পীদের কষ্ট থেকে নিজের জীবনের লক্ষ্য বদলে ফেলেন লরিন।
শুরু করলেন সহকারী পরিচালক হিসেবে উত্তম আকাশের সঙ্গে ‘চিটাগাংইয়া পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়া’ সিনেমায় কাজ। এই সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে বিশ হাজার টাকা এবং দৈনন্দিন খরচ পেয়েছিলেন। এক সিনেমাতে কাজ করেই মিডিয়াতে পরিচালক হিসেবেই কাজ করার স্বপ্ন বুনন শুরু তার।
এরপরেও লরিন নেহাল দত্ত-উত্তম আকাশ, শাহীন সুমনের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। নাটকে রাকেশ বসু, ইভান মনোয়ার, হাবিব শাকিল, অলোক হাসানসহ আরো বেশ কয়েকজন পরিচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তবে লরিনের স্বপ্ন সিনেমা নির্মাণের। সেই লক্ষ্যেই নিজেকে তৈরি করছেন একটু একটু করে। তবে তার আগে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় যে গল্পটি তার মাথায় ঢুকেছিল সেই ‘ইতি আমার স্বপ্নেরা’ নিয়ে একটি নাটক নির্মাণ করতে চান তিনি। রাকেশ বসুর সহযোতিায় করোনাকালীন সময়ে তিনি ‘ইতি আমার স্বপ্নেরা’র স্ক্রিপ্টের কাজ সম্পন্ন করেছেন। এখন এটি যথাযথভাবে নির্মাণ করতে চান তিনি। লরিন খান বলেন, ‘একটা সময় স্বপ্ন ছিলো নৃত্যশিল্পী হবো কিংবা কোরিওগ্রাফার হবো। কিন্তু সেই স্বপ্ন এক সময় জীবনের চলার পথে এসে বদলে যায়। এখন স্বপ্ন একজন ভালো পরিচালক হবার। ইতি আমার স্বপ্নেরা-আমার সেই স্বপ্নপূরণের গল্প। একটি ভালো ওটিটি প্লাটফরম থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেলে আমি আমার রচিত এই গল্পটি নির্মাণ করতে চাই, সারা বাংলাদেশের দর্শক তথা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীর কাছে আমি এই গল্পটা তুলে ধরতে চাই। নির্মাণ শেষে এর যথাযথ প্রচারণারও বিষয় রয়েছে। একজন প্রযোজক টাকা দিলেন, আমিও বানিয়ে ফেললাম-এমনটা করতে চাই না। যারা ওটিটি প্লাটফরমে যথাযথভাবে কাজ করছেন, তাদের সঙ্গেই আমার গল্পটা নিয়ে কাজ করতে চাই। এরপর না হয় নিজের মনের মতো একটি সিনেমা নির্মাণ করা যাবে।’
লরিনের খুব ভালো বন্ধু আশুলিয়ার আরজিনা ও রাজধানীর উত্তরার একটি কফি শপের একজন কর্ণধার শাওন। লরিন রাজধানীর উত্তরা টাউন কলেজে ডিগ্রিতে পড়ছেন। তার সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতা অপূর্ব। তাকে নিয়েও কাজ করার স্বপ্ন আছে তার।