খালেদা আক্তার কল্পনা, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন গুণি অভিনেত্রী। বাংলাদেশের বহু নায়কের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এখনো এই সময়ে এসে তিনি টুকটাক অভিনয় করছেন।
এই অভিনেত্রীর হাত ধরেই এক যুগেরও বেশি সময় আগে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন শিউলী শিলা। খালেদা আক্তার কল্পনার মাধ্যমেই তিনি ইলিয়াস কোবরা পরিচালিত ‘ভাইয়া নাম্বার ওয়ান’ সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন। এরপর শিউলী শিলা ‘প্রেম কয়েদী’,‘ নিঃশ্বাস আমার তুমি’,‘ ভালোবেসে মরতে পারি’, ‘পাওযার’, ‘অনিশ্চিত যাত্রা’,‘ জাদরেল সন্তান’সহ আরো বেশকিছু সিনেমাতে অভিনয় করেন।
মিউজিক ভিডিওতে এবং নাটকে অভিনয় করেও দর্শকের প্রশংসা পেয়েছিলেন শিউলী শিলা। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খালেদা আক্তার কল্পনার সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান। খালেদা আক্তার কল্পনাকে মায়ের মতোই শ্রদ্ধা করেন, ভালোবাসেন শিলা।
ঠিক তেমনই কল্পনাও শিলাকে মেয়ের মতোই স্নেহ করেন, আদর করেন। শিউলী শিলা প্রসঙ্গে খালেদা আক্তার কল্পনা বলেন, ‘নূরুল ইসলাম নূরুর নির্দেশনায় মালকা বানু নাটকে অভিনয় করতে গিয়েই চট্টগ্রামে শিলার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। কাজ করতে গিয়ে দেখেছিলাম। সত্যি বলতে কী সেই সময় তার মিষ্টি চেহারায় আমি মধুবালার মিল পেয়েছিলাম। সবকিছু দেখে আমার ভালো লেগেছিল। তখনই বলেছিলাম, ঢাকায় সুযোগ পেলে কাজ করবে? শিলা বলেছিল, জ্বি কাজ করবো। সেই থেকে একসঙ্গে পথচলা। এরপর ঢাকায় এসে, যোগাযোগ হয়। আমার সহযোগিতায় নাটকে, সিনেমায়, মঞ্চ নাটকে কাজ করে। মানুষ হিসেবে শিলা দুষ্টু, চঞ্চল, খুব ভালো অভিনেত্রী। সে নিজেও নিজেকে এতোটা বুঝেনা। বুঝলে তার ক্যারিয়ারের ব্যাপারে আরো একটু সচেতন হতো। তার আজ যে অবস্থান, তার পিছনে আমার অনেক চেষ্টা ছিলো যত্ন ছিল।’
শিউলী শিলা বলেন,‘কল্পনা আন্টির প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। তার সহযোগিতাতেই এবং আন্তরিকতায় আমি আজকের এই অবস্থানে এসেছি। অবশ্যই আমার নিজেরও চেষ্টা ছিল। কিন্তু তারপরও একজন সত্যিকারের শুভাকাঙ্খী হিসেবে তিনি আমার পথপ্রদর্শক ছিলেন। তিনি আমার গুরুজন। তিনিই একমাত্র আমাকে শাসনের অধিকার রাখেন। তার আদর ভালোবাসায় আমি সবসময়ই আপ্লুত থাকি। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে সবসময় ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন।’