এক মাস আগে ‘দৈনিক সংবাদ সারাবেলা’র বিনোদন পাতায় লিখেছিলাম ‘মুনমুনের টার্নিং পয়েন্ট’ আমার সেই লেখা সত্যি প্রমাণ করে দিয়েছেন ঢালিউডের এই নায়িকা। দর্শকরা মুনমুনের এই নতুন গেটাপ সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছেন।
নায়িকা মুনমুন রোববার এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপচারিতায় বলেন, দর্শকরাই প্রধান বিচারক তারা যেই রায় দিবেন সেটাই চূড়ান্ত। একজন শিল্পীকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই। সবাই একজন শিল্পীকেই সমর্থন করবেন এটা ভাবা ভুল। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দর্শকদের ভালোবাসায় আমি আজ ‘মুনমুন’। আমি মনে করি সকল সমালোচনাই পজেটিভ। ‘রাগী’ ছবিতে আমার এই নেগেটিভ চরিত্রটি ছিলো আমার জন্য কঠিন একটি পরীক্ষা। দর্শকদের ভালোবাসায় আলহামদুলিল্লাহ্ আমি সেই পরীক্ষায় বেশ ভালো মার্ক নিয়েই পাস করেছি।
নায়িকা মুনমুন আরও বলেন, একজন শিল্পীর উচিত সকল ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা। চিত্রনায়িকা স্রদ্ধেয় শবনম আপাকে দেখেছি নায়িকা থেকে মা -এর ভূমিকায় অভিনয় করতে। চরিত্র চরিত্রই। এমন অনেক উদাহারণ আছে। একজন নায়িকা তার নায়ককে চরিত্রের প্রয়োজনে চুমু দিতেই পারেন। এটা নিয়ে দর্শকরা হলে শিস বাজাবে, সাংবাদিকরা সেই ছবি কাগজে ছাপবেন। দু’একটা নেগেটিভ কথা লিখবেন। এটাই তো স্বাভাবিক! এই বিষয় গুলোকে গ্রহণ করার মনমানুষিকতা থাকলে একটা সময় আপনার সফলতা আসবেই। আমি যখন নায়িকা হয়ে সিনেমার নায়ককে জরিয়ে ধরেছি হল ভর্তি দর্শক শিস দিয়েছে। আবার ‘রাগী’ ছবিতে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে দর্শকদের গালি শুনেছি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এটাই একজন শিল্পীর সবচেয়ে বড় সার্থকতা। সমালোচকরা অনেক কিছুই বলবে, বিষ খেয়ে বিষ হজম করার মতো যোগ্যতা তৈরি করাটাই একজন শিল্পীর সবচেয়ে বড় গুণ। নায়িকা থেকে খলনায়িকা আমার এই টার্নিংটা দর্শকরা গ্রহণ করছেন। দর্শকদের কাছে আমি আমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।
মুনমুন বলেন, পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান স্যারকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে নতুনরূপে ক্যামেরার সামনে হাজির করার জন্য।
আরও ধন্যবাদ জানাতে চাই গনমাধ্যমকর্মী ভাই-বোনদের প্রতি। পাশাপাশি তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে সমালোচনার পাশাপাশি যেকোনো শিল্পীর ইতিবাচক দিকগুলোও অনুগ্রহ করে তুলে ধরবেন।