চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) পরীক্ষা দিতে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ হওয়া হৃদয় তরুয়ার হত্যা মামলার নথিভুক্ত আসামী সাজ্জাদ হোসাইন গ্রেফতার হয়েছে। জানা গেছে
ঐ শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সে পরীক্ষা দিতে আসলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেন। পরবর্তীতে প্রক্টরিয়াল বডি আসামীকে হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করে।
আজ (৬ ডিসেম্বর ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সোশ্যাল সাইন্স ফ্যাকাল্টির পরীক্ষার হল থেকে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। তার মোবাইল চেক করে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের মাধ্যমে এখনো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান সংবাদ সারাবেলা কে বলেন, দুপুর ১২ টার দিকে আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেই।
আটককৃত শিক্ষার্থী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ হৃদয় তরুয়া ভাইয়ের হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট এবং হৃদয় তরুয়ার হত্যায় মামলার নথিভুক্ত আসামী। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তীতে এমন একজন দাগি আসামীকে কীভাবে পরীক্ষার অনুমতি দিলো আমাদের জানা নেই।
এবিষয়ে আমরা খুবই হতাশ একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি কে এই দাগি আসামীকে কারা পরীক্ষা দিতে সহায়তা করলো সে বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের জানায়, হৃদয় তরুয়ার হত্যা এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমে জড়িত এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছে। প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রমাণসহ তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি সবসময় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, উক্ত ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রক্টর অফিসে সামনে জড়ো হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত শান্তি ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় ও এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।