জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্তঃবিভাগীয় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে করে গণিত বিভাগ ও ইংরেজি বিভাগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহতর সংখ্যা প্রায় বারো জন। আজ (১৭ নভেম্বর) ধূপখোলা মাঠে ১২ টার সময় গণিত বিভাগ সাথে ইংরেজি বিভাগের ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন এই সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, 'ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বালু নিয়ে গণিত বিভাগের দিকে দেয়। তখন গণিত বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থী ইংরেজি বিভাগের খেলোয়াড়দের দিকে ধেয়ে গেলে ইংরেজি বিভাগের খেলোয়াড়রা আক্রমণ করে। তখন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবার গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারতে যায়। সেখানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
গণিত বিভাগের ১৫ ব্যাচের সংকর দাস বলেন, 'আসল ঘটনা ঘটে ট্রাইবেকারের সময়। তাদের দর্শকরা খেলোয়াড়দের দিকে বালু নিক্ষেপ করে এবং নারীদের অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে। এক পর্যায়ে হাতাহিতর ঘটনা ঘটে। আমার পায়ে রড দিয়ে মারা হয়।'
গণিত বিভাগের ১৪ ব্যাচের এনামুল হক ইহাদ শিক্ষার্থী বলেন, ট্রাইবেকার শেষে ইংরেজি বিভাগের গোলকিপার আমাদের দর্শকদের দিকে বালু দেয়। আমরা যখন প্রতিবাদ করতে আসলাম তখন তারা সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের উপর হামলা করেন। তারা পতাকার পাইপ দিয়ে আমাদের মারতে আসে। ক্যাম্পাসের বাসে আসার সময় আমাদের বাসের দিকে বাশ দিয়ে জানলায় খোঁচা মারে আমাদের খেলোয়াড়দের উদ্দ্যেশ্য করে। তখন আমাদের জুনিয়ারা একটু রেগে যায়। আমরা কালকে প্রতিবাদ লিপি প্রক্টর অফিসে দিবো।'
ইংরেজি বিভাগের ১৩ ব্যাচের ফরহাদ বলেন, গণিত বিভাগের খেলোয়াড়রা খেলার সময় বিভিন্ন স্লেজিং করে। এবং খারাপ ভাষায় গালাগালি করে। ট্রাইবেকারের সময় কিপারকে খারাপভাবে গালি দেয়। তারপর আমরা ম্যাচ জিতলে আমাদের দিকে তেড়ে আসে এবং তারা আমার খেলোয়ারদের গায়ে হাত দেয়। ওইখানে এক পর্যায়ে মারামরি হয়। আমাদের ১ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ও ১২ থেকে ১৫ জন আংশিক আহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাসে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে আসার সময় ভিক্টোরিয়া পার্কে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসে বাস ঘিরে ফেলে এবং আমাদের আক্রমণ করা শুরু করে স্যারদের সামনে। এবং ক্যাম্পাসে বাসের ভিতর আমাদের অনেকক্ষণ জব্দ করে রাখা হয়।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. তাজাম্মুল হক বলেন, 'আমাদের কাছে দুই বিভাগের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আসে নি। আমরা অভিযোগের অপেক্ষায় বসে আছি'