রাজধানী
উত্তরায় অবস্থিত স্বনামধন্য ইসলামিক
ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল, রুহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় হিফয কনভোকেশন,রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি সংলগ্ন ফ্যান্টাসি আইল্যান্ড এমিউসমেন্ট পার্কে আজ (২ নভেম্বর) অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
পবিত্র
কুরআনের হিফয সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের সাফল্য উদযাপন করতে এ বিশেষ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।।
এই
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী, আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা)-এর প্রেসিডেন্ট, মা'হাদুল ক্বিরাত বাংলাদেশ-এর পরিচালক, শাইখ
আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী (হাফিজাহুল্লাহ)।।
তাঁর
সান্নিধ্য এবং মূল্যবান বক্তব্য শিক্ষার্থীদের কুরআনের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছে।
এ
বছর রুহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পাঁচজন মেধাবী ছাত্র পবিত্র কুরআনুল কারিমের হিফয সম্পন্ন করেছে। এই পাঁচজন সহ,
স্কুলের মোট ১০ জন শিক্ষার্থী
ইতোমধ্যেই হাফিজুল কুরআন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে, যা স্কুলের ধারাবাহিক
সফলতা এবং আল্লাহর রহমতের একটি বিশেষ প্রতিফলন।
অনুষ্ঠানের
আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক পর্বে রুহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের পরিবেশনায় ছিল পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, ইসলামী সঙ্গীত, শিক্ষনীয় নাটিকা সহ মনোমুগ্ধকর এবং
উপভোগ্য নান্দনিক পরিবেশনা।।
রুহ
ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সম্মানিত চেয়ারম্যান এ সময় বলেন,
“আমাদের লক্ষ্য শুধু শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষই নয়, বরং তাদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার
মাধ্যমে চরিত্র গঠন। ভবিষ্যতের আদর্শ সমাজ গঠনে তাদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।”
অনুষ্ঠানের শেষ অংশে সম্মানিত প্রধান অতিথির কাছ থেকে পাগড়ি গ্রহণ করেন এবারের অত্র স্কুলের ৫ জন হাফেজ। এছাড়াও প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির কাছ থেকে সবক গ্রহণ করেন নবীন শিক্ষার্থীগণ।
রুহ
ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল, শিক্ষকমণ্ডলী, ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকগণ এই আয়োজনে উপস্থিত
ছিলেন। সকলে স্কুলের এই সাফল্যকে আন্তরিকভাবে
উদযাপন করেন এবং এ ধরনের উদ্যোগ
শিক্ষার্থীদের জীবনে ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ
প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রুহ
ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ভবিষ্যতে আরও উন্নত শিক্ষার পরিবেশ এবং উচ্চ মানসম্পন্ন ইসলামী শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ধরনের আয়োজনের
ধারাবাহিকতা রক্ষা করে তারা আগামী প্রজন্মের সুনাগরিক তৈরি করার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে।