স্কুলে প্রথম
শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার
নাতি নাতনির জন্য ৫ শতাংশ কোটা বাতিল হয়েছে। ২০২৫ সালে স্কুলে ভর্তির জন্য ১৪ নভেম্বর
থেকে শুরু হচ্ছে আবেদন গ্রহণ। এবার থেকেই আবেদনের ক্ষেত্রে নাতি-নাতনি কোটা বাতিল কার্যকর
করা হয়েছে।
গতকাল (২৮
অক্টোবর) মাধ্যমিক
উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জারি করা ভর্তি নীতিমালায় এ সংশোধনী আনা
হয়েছে।
তবে
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ
চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত
শিক্ষার্থীর যমজ ও সহদোর ভাই-বোন ৫ শতাংশ কোটায়
সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবে।
এতদিন বীর
মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের
ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল।
তবে
নতুন সিদ্ধান্ত হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের
পুত্র-কন্যার ৫ শতাংশ কোটা
সংরক্ষিত থাকবে। না পাওয়া গেলে
এই আসনে মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করতে হবে।
মাধ্যমিক
ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখা-২-এর শিক্ষা
অফিসার জি. এম. মোস্তাফিজুর বলেন,
প্রাথমিকে সাধারণত ৬ থেকে ১৩
বছরের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। এবার ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা থাকছে না। তবে তাদের পুত্র-কন্যার কোটা থাকবে। যদিও এ ক্ষেত্রে এমন
বয়সী সন্তান খুবই কম।
তিনি
বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। যদি শুধু পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা
ফাঁকা থাকে, তাহলে মেধাতালিকা অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ মিলবে।