জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ৫৩ ব্যাচের ক্লাস শুরু হয়েছে এবং প্রথম দিনেই হলে সিট পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। গণরুম নামক আয়না ঘরের বিলুপ্তি হয়েছে। র্যাগিং, মাদক ও গণরুমমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করি স্লোগানে র্যালী করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে র্যালী শুরু হয়ে কয়েকটি রাস্তা প্রদক্ষিন করে মহুয়া মঞ্চে গিয়ে রালী শেষ হয়। র্যালী শেষে প্রক্টর অধ্যাপক এ.কে.এম. রাশিদুল আলমের সঞ্চালনায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা বক্তব্য রাখেন।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, বিগত দেড়যুগ থেকে মানুষ ভালোভাবে কথা বলতে পারে নি এই ফ্যাসিস্ট আমলে। জুলাই এর আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, যারা শহিদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আমরা কোনো দলীয় ম্যান্ডেট প্রশাসন নই, আমরা জাবিকে সংস্কারের জন্য এসেছি, আপনারা দেখেছেন গতকাল জাবিতে একটি মাইল ফলক সৃষ্টি হয়েছে, গনরুম নামক আয়নাঘরকে আমরা বিলুপ্ত করতে পেরেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই এরকম একটি ইতিহাস তৈরি করার জন্য।
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একটি অরাজনৈতিক প্রশাসন, আমাদের এখন কাজ করার সময়, আমরা জানি সকলে আমাদের থেকে কি প্রত্যাশা করে, সবকিছু হয়তো আমাদের পক্ষে করা সম্ভবনয়, কিন্তু একটা ইতিবাচক দিক দিয়ে আমরা কাজভশুরু করেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের হলে উঠিয়েছি, প্রথম দিনেই তাদের সিট নিশ্চিত করেছি।
তারা যেন এভাবে তাদের শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করতে পারে, আমরা চাই আর কোনোভাবে অপসংস্কৃতির চর্চা না হোক, আমি শিক্ষার্থীদের কে আমার সন্তানের মত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে আমার পরিবারের মত মনে করি। যারা জুলাই এ শহিদ হয়ে চলে গেছে তারা আমাদের উপর অনেক বড় দায়িত্ব দিয়ে চলে গেছে, সেটা আমাদের পালন করার চেষ্টা করতে হবে।
আমরা জাবিকে সর্বোচ্চ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ব্যবস্থা চালু করতে চাই, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না হলে তারা আমাদের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাব্যবস্থা কে ধংস করে দেবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় টানা দুইবার র্যাংকিং এ প্রথম হয়েছে, আমরা যদি মাদক ও র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে পারি তাহলে শুধু টাইমস হায়ার না মানুষের অন্তরে জায়গা পাবে আমাদের ক্যাম্পাস।