ক্যাম্পাসের নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থায় দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। অপরিচ্ছন্ন এসব ড্রেন ও ময়লা আবর্জনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশের জন্য হুমকি সৃষ্টি করলেও সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কোন উদ্যোগ নেয়নি। এতে ঝুঁকিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেন মাটি ও ময়লা আবর্জনা দিয়ে আটকে গেছে। ড্রেনে মাটি এবং ময়লা আবর্জনা পরে থাকে ফলে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটের বিপরীতে ময়লা আবর্জনার স্তুপ হয়ে আছে।
ময়লা আর পানি একত্রে মিশে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। আর তাতেই সৃষ্টি হচ্ছে মশা। ছাত্রী কমনরুমের পেছনের দিকে ময়লা পানিযুক্ত ড্রেনের দুই পাশেই উচ্ছিষ্ট জিনিসপত্র পড়ে আছে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু নিধনের কোন স্প্রে দেওয়া হয় নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিটি করপোরেশনের উপর নির্ভর করে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার বিষয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, "ড্রেন অনেক উচু নিচু আছে সেইজন্য পানি আটকে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। এখনও কোন ময়লা আবর্জনা থাকলে পরিষ্কার করা হবে। ডেঙ্গু জন্য স্প্রে সিটি করপোরেশন থেকে প্রতি অক্টোবর মাসে। তাদের সাথে কথা বলে আমরা তাড়াতাড়ি স্প্রে করার ব্যবস্থা করছি।"
এ বিষয়ে নবনিযুক্ত ছাত্র উপদেষ্টা এ.কে.এম রিফাত হাসান বলেছেন, " শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গুর বিষয়ে আমরা এবিষয়ে শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা করছি। এটা উপাচার্য মহাদয়ের কাছে জানানো হবে।"
এর আগে, ২০২৩ সালে আগষ্ট মাসে নৃবিজ্ঞান বিভাগের রুদ্র সরকার নামের এক শিক্ষার্থী ও ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদা নাসরীন বাবলী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।