কিশোরগঞ্জ শহরের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০২২-২৩ সালে ভাউচার বিহীন বিভিন্ন নামে-বেনামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাত করেন প্রধান শিক্ষক বিপদ ভঞ্জন বণিক। শুধু তাই নয় প্রতি বছর ব্যাক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীদের ভর্তির শাখা খুলে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অনুষ্ঠানের নামে হাতিয়ে নিত লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনই অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ কর্মরত শিক্ষকরা।
অনুসন্ধানে জানাযায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় ২০২৪ সালের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ভর্তি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে ৭,৩৪,৭০০ টাকা আত্মসাত করেন তিনি, যা রশিদের অন্তর্ভূক্ত এবং বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হয়নি। ২০২২-২৩ সালে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির জরিমানার হার ৫ টাকার স্থলে ৫০ টাকা করে আদায় করে আত্মসাৎ করেন প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রীদের ভর্তিকৃত আদায় টাকা ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ করেন তিনি। থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোল্লার অনুদানের ৫০ লক্ষ টাকার লভ্যাংশ গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেওয়ার কথা থাকলেও সেই টাকা না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দোকান নির্মানে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে তিনি টাকা নেন এবং ব্যক্তিগতভাবে নিজ বাসায় ভর্তির শাখা খুলে প্রায় ১লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন এই প্রধান শিক্ষক।
উল্লেখ্য ২৭ গত আগষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভের পর তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী মহুয়া মমতাজ (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে অপসারণ করেন।