গত ৫ আগস্ট দেশব্যাপী আপামর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এই ঘটনার পরেই দেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন। কয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভিসি নিযুক্ত হলেও এখনও ভিসিশূণ্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতার ফাইলে স্বাক্ষর করা নিয়ে জটিলতা নিরসনে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও কোষাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে জরুরি আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের স্বাক্ষরে সাময়িকভাবে পরিচালিত হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত ডিন কাউন্সিল ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নিতে হবে।
গতকাল (২৯ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত চিঠি প্রকাশ করেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও ট্রেজারার পদত্যাগ করছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা পদত্যাগ না করা সত্ত্বেও কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
ফলে তাদের পদত্যাগ ও অনুপস্থিতিজনিত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়মিত ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিল, ক্ষেত্রমতে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দিয়ে সাময়িকভাবে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।