ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে ও সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব মুক্ত পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) 'গানের সমাবেশ' অনুষ্ঠিত হয়েছে। গানে গানে প্রতিবাদকে ছড়িয়ে দিতে এ আয়োজন করেছে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
রোববার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ গানের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷ এসময় জাহাঙ্গীরনগর স্কুল এন্ড কলেজ ও সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ আয়োজনে অংশ নেয়৷
গানের সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী মিছিল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে প্রধান ফটক ঘুরে পুনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়৷ এসময় ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী নাসির উদ্দীন প্রিন্স বলেন, আজ গানে গানে প্রতিবাদের যে সমাবেশ তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এভাবে সমাজের প্রতিটি স্তরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে অর্থবহ করে তুলতে হবে। আগস্টের এ অভ্যুত্থান দীর্ঘমেয়াদী হোক। মানুষের মধ্যে প্রতিবাদের এ ধারা জারি থাকুক। সমাজের বৈষম্য ঘোচাতে যে আন্দোলন, তা যেন পরবর্তীতে নতুন কোন বৈষম্য তৈরি না করে। সমাজের সকল স্তরের বৈষম্য দূর হয়ে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।
চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মী সোহাগী সামিয়া বলেন, গান হোক প্রতিবাদের ভাষা এবং আন্দোলনের হাতিয়ার। সাম্প্রতিক সময়েও গান আমাদের আন্দোলনে প্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা জনতার গান গাইবো। এর মাধ্যমে আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। বিপ্লবকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে। বড় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগালের মধ্য থেকে ছোট রাষ্ট্রগুলো নিষ্পেষিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন দূর্যোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা গানের সমাবেশে অংশ নেন।