× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও ঘটনাবহুল ২০২৪ সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বন্যা পরবর্তী খাদ্যসংকট মোকাবেলায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী , বাকৃবি প্রতিনিধি। 

২৫ আগস্ট ২০২৪, ২০:২৯ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত

বন্যা পরবর্তী সময়ে দেশে সম্ভব্য খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। আর এই সংকট মোকাবেলায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বন্যা দুর্গত এলাকায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আমন ধানের চারা বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে এসব শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরেই লেট আমন ধানের চারা সরবরাহ করবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরেই দ্রুত চারা সরবরাহ করা গেলে দেশের খাদ্য সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। ‍

এ বিষয়ে গত  ২৪ আগস্ট বাকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের গ্যালারিতে একটি আলোচনা সভায় বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু উদ্যমী ছাত্র-ছাত্রীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন অধ্যাপক, কৃষি বিজ্ঞানী, কৃষি উদ্যোক্তা এবং কর্পোরেট ব্যক্তির পরামর্শক্রমে বন্যার্তদের চারা সরবরাহের উদ্দেশ্যে এগ্রি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স গঠন করা হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৪-২১ দিন বন্যা অবস্থা থাকলে বা তার বেশী সময় পার হয়ে গেলে আমরা আমন সিজন আর ধরতে পারবো না। সেক্ষেত্রে চাহিদা মেটাতে আমাদের বিশাল পরিমাণে চাল আমদানি করতে হবে বা দুর্ভিক্ষ অবস্থা হতে পারে। এতে কয়েক হাজার কোটি ডলার রিজার্ভ থেকে চলে যাবে। সেটা মোকাবেলায় আমাদের খুব দ্রুতই চারা তৈরি করা শুরু করতে হবে। যাতে আমরা পানি নেমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে চারা সরবরাহ করতে পারি। ফলে আমরা অনেক এগিয়ে থাকবো। পরবর্তীতে বোরো মৌসুম যথাযথসময়ে ধরতে পারবো এবং এটাই আমাদের প্রধান কাজ।

এ বিষয়ে বাকৃবির শিক্ষার্থী মো আব্দুল্লাহ আল মুন্না বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫ একর জায়গার ব্যবস্থা হয়েছে বীজ বপন করার জন্যে। এটিকে আরো বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আমরা ধান বীজ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতেছি। আমরা যত বেশি বীজ সংগ্রহ করতে পারবো তত বেশি বন্যা দুর্গত এলাকায় ধানের চারা রোপন করতে পারবো। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আশেপাশের অঞ্চলে জমি ব্যবস্থা করতে পারলে সেটা খুবই ফলপ্রসূ হবে। এতে যোগাযোগ সহজ হবে, খুব সহজেই ওই এলাকার মাটির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।

এ বিষয়ে বাকৃবির খামার ব্যবস্থাপনা শাখার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক মো জিয়াউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে আমার কথা হয়েছে। আমাদের চারা সংকট রয়েছে। তবে আমরা ৩ একর জায়গা দিয়ে সাহায্য করতে পারবো। শিক্ষার্থীরা ৩ একর জায়গায় বীজধান বপন করে ধানের চারা উৎপাদন করতে পারবে।

বাকৃবির কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম. আরিফ হাসান খান রবিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ বন্যা পরবর্তী দেশের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আমরা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এই মহৎ উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এই প্রক্রিয়ায় বেশি সীড এবং বেশি জমির প্রয়োজন। চারা প্রস্তুত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ একর জমি নেওয়ার ব্যবস্থা করবো। এখন যেহেতেু আমন মৌসুম চলছে । বন্যা পরবর্তী সময়ে ব্রি-৫২, ব্রি-৭১, ব্রি-৭৫, এবং বিনা ১৬, বিনা ১৭ ধানের জাতগুলো বন্যা এলাকার জন্য উপযুক্ত হবে। ব্রি ৫২’ জাতের ধান পানির নিচে ১৫ থেকে ২১ দিন পর্যনত্ টিকে থাকতে পারে। এছাড়াও বিআর ২৩, ব্রি৩৪, ব্রি৪৬, ব্রি৪৯ জাতের ধানগুলো সংগ্রহ করা যেতে পারে। তবে নতুন করে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে ২০-৩০ দিন সময় লাগবে। বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি নেমে যাওয়ার পরপরই যেন চারা রোপন করা যায় সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমানে ময়মনসিংহ বা তার আশেপাশের এলাকায় বিপুল পরিমানে ধানের চারা আছে। এলাকার মানুষেরা তাদের জমিতে ধানের চারা রোপন করার পরও অতিরিক্ত চারাগাছ পড়ে আছে। এগুলো দ্রুততার সাথে সংগ্রহ করতে হবে। যেন বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই বন্যাদুর্গত এলাকায় ধানের চারা রোপন করা সম্ভব হয়।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.