নতুন ঘোষিত এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন'- এর ব্যানারে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নগরীর দেওয়ানহাট ওভার ব্রিজের নিচে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও চবি অধিভুক্ত কলেজ সমূহের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেওয়ানহাট ওভার ব্রিজ থেকে শিক্ষার্থীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এক দল রেল পথ ও আরেক দল সড়ক পথ অবরোধ করে।
দেওয়ানহাট মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা, একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ব্লকেড ব্লকেড, বাংলা ব্লকেড’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার”, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
তবে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল চেয়ে চার দফা দাবি থেকে সরে এসে এক দফা দাবি নিয়ে এখন আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এক দফা দাবি হলো: "সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।"
'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর চবি সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ জানান, আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে সকাল সন্ধ্যা সড়ক ও রেলপথ অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের অবরোধ কার্যক্রম সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলবে। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে এর চাইতে কঠোর কর্মসূচি আসবে সামনে।