ইসরাইলের চলমান সন্ত্রাসী আগ্রাসনের প্রতিবাদে ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে ফিলিস্তিনের শিশুসহ নারী-পুরুষদের ওপর ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, বোমা হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৬ মে) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও একাত্মা পোষণ করে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, "ফিলিস্তিনের চলমান স্বাধীনতা আন্দোলন শুধু মুসলিমদের ইস্যু নয়, এটা গোটা মানবজাতির মানবতার ইস্যু। আজকের এই মানববন্ধনে উপস্থিত হতে পারাটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। সবচেয়ে বড় মূল্যবান বিষয় হলো ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো, অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়ানো।"
ফ্যাইন্যান্স বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ ইশতিয়াক হোসেন মজুমদার বলেন, " ইসলরাইলের সবচেয়ে বড় দোসর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে ও ইসলরাইলের সাথে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আন্দোলন করছে এখানে আরবরা জাতির ভাই হয়েও আজ নির্বিকার, আরব শাসকগোষ্ঠীসহ জনগণ পর্যন্ত ভোগবিলাসের মত্ত হয়ে আছে। তাদের এই ভন্ডামী একদিন তাদের পতনের কারণ হবে, ইনশাআল্লাহ। যে জাতি একজন খ্রিষ্টান নারীর জন্য স্পেন বিজয় করতে পারে, সে জাতি আজ নিজের বোনের আর্তনাদ শুনতে পায় না।"
আরবি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী নিয়ামতউল্লাহ ফারাবী বলেন, "আমেরিকা গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজে আমাদের মানবাধিকার শেখাতে আসে অথচ খোদ তাদের ঘরেই প্রতিনিয়ত মানবতা লঙ্ঘন হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে অথচ মার্কিন প্রশাসন সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে পায় না। গত ৮ মাসের জুলুমের করাল গ্রাসে আমাদের ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ভাই শহিদ হয়েছেন, শহিদদের কাতার আরো লম্বা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব বিবেক এখনও আইসিইউতে রয়ে গেছে। আমরা আজকের মানববন্ধন থেকে ইসরাইল ও তাদের দোসরদের সকল পণ্য বয়কট ঘোষণা করছি।"
মানববন্ধন থেকে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানানোর কারণে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনকে অভিনন্দন জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা "ফ্রি প্যালেস্টাইন", "বয়কট ইসরাইল" বলে স্লোগান দিতে দিতে কর্মসূচি শেষ করে।