শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আবাসিক হলগুলোও বন্ধ থাকবে। তবে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেতারা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত অনলাইনে অনুষ্ঠিত ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সিন্ডিকেট সভা সিদ্ধান্ত নেয় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট সমাধানে আলাপ-আলোচনা করে দুটি কমিটি গঠন করা হবে। একটি কমিটি হবে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে, অন্যটি করা হবে ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে, সে ঘটনা তদন্তের জন্য।
আবাসিক হল কেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘উপাচার্য আশঙ্কা করছেন আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ঢুকছে। শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। এতে এখানে অন্য রকম ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি হলগুলোও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
তবে এ সিদ্ধান্ত না মানার ইঙ্গিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে দাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের।
তিনি বলেন, ‘উপাচার্য নিজেকে বাঁচানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেছেন। ক্যাম্পাসে শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা থাকবেন। কেউ যাবেন না।’
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো আবু তাহের বলেন, ‘উপাচার্য হল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে বহিরাগত ব্যক্তিদের হলে উঠাতে চান। ক্যাম্পাসে ঢোকাতে চান। আমরা সেটা মেনে নেবো না। আমাদের সন্তানরা হলে থাকবে। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে পারেন না তিনি (উপাচার্য)। নিজের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে তিনি ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার ব্যবস্থা করেছেন।’