আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চার তরুণ শিক্ষার্থীর ভাবনা।
বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় দেশে গণতন্ত্র তার মর্যাদা হারাচ্ছে
এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। স্কুল কলেজ এর গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়া শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তরুণ ভোটাররা অনেক প্রভাব ফেলবে এবারের নির্বাচনে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়ায় নতুন করে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার ১৯৩টি ভোট বৃদ্ধি পেয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনের বাকি অল্প কিছুদিন। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় তরুণরা নির্বাচন পদ্ধতিতে সন্তুষ্ট হতে পারছে না। ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ায় এবারের নির্বাচন অনেকটা একপাক্ষিক হওয়ার অসনী সংকেত দিচ্ছে। পাশাপাশি বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় দেশে গণতন্ত্র তার মর্যাদা হারাচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ। আমি মনে করি, বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র হিসেবে দেশের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত কলকব্জা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এদেশে বহিঃরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করছে। দেশের গণতন্ত্র না থাকায় তারা সে সুযোগটা নিতে পারছে। ধড়—পাকড় এর রাজনীতি যতদিন বিরাজমান থাকবে ততদিন এদেশের তরুণ প্রজন্ম এই রাজনীতি থেকে বিমুখ থাকবে। নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ হারাবে। যেমনটা চলে আসছে গত দুই নির্বাচনে। দেশের বিচার—ব্যবস্থার বেহাল দশা, আইনের প্রতি ভরসা উঠে যাওয়ায় এদেশের তরুণদের মধ্য রাজনীতি বিমুখতা বেড়ে চলছে। অথচ তরুণ প্রজন্মের দ্বারা দেশের সাধারণ জনগণ তাদের সামাজিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার কথা।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অরাজকতা তরুণদের নির্বাচন কেন্দ্রিক হতাশ করে দিচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে তরুণদের বড় একটা বড় অংশ তাদের ভোটাধিকার নিয়ে সন্দিহান। নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা অনেক ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারার আশঙ্কা করছে।
পরিশেষে বলতে চাই, দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটগ্রহণ একটি উত্তরের প্রস্তাব হতে পারতো। কিন্তু এবারের নির্বাচনে যেহেতু তা হয়নি তাই সুতরাং নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেই আশা ব্যক্ত করছি।
তানভীর ইবনে মোবারক, শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ
তরুণরা উন্নয়নকামী সরকারকে বেছে নেবে
চারদিকে এখন দ্বাদশ নির্বাচনের হাওয়া বইছে। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, চিন্তা-ভাবনা, নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনী জোট সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে নির্বাচনী এলাকার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ সরগরম। নির্বাচন সব সময়ের জন্যই পছন্দের প্রার্থীদের মূলধারার নেতৃত্বে আনার যে প্রচেষ্টা তার মহা-উৎসব চলছে। একে ঘিরে মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনার কোন কমতি নেই। এই নির্বাচনে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ, রাজনৈতিক দলগুলোর সহিংস-অসহিংস কর্মসূচি বা নানা রকম অপ্রীতিকর ঘটনা, বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পার করার মাধ্যমে ঘোষণা হয়েছে তফসিল। এখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা, রাজনৈতিক মেরুকরণ বা জোট, সুশাসন ইত্যাদির পাশাপাশি তরুন সমাজ অর্থাৎ নতুন ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকবে বলে আশা করা যায়। কারন তরুণরাই এই নির্বাচনে বড় একটা জায়গা জুড়ে আছেন এবং এই তরুণ ভোটাররাই বেশ বড় ধরনের প্রভাব রাখবেন এবারের নির্বাচনে। এজন্য নির্বাচন অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রার্থীর মূল লক্ষ্য এই তরুন সমাজের ম্যান্ডেট লাভ করা।
সমসাময়িক বাংলাদেশের যুব সমাজের অবস্থান এবং ভবিষ্যত চিন্তা নিয়ে বাংলাদেশী ইয়্যুথ লিডারশিপ সেন্টার, সেন্টার ফর পিস এন্ড জাস্টিস ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কর্তৃক যৌথভাবে একটি জরিপে দেখা যায় ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের প্রায় ৭২ শতাংশ ভোট দিতে চায়। যেটা মাথায় রেখে নির্বাচন অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি দল তাদের ইশতেহারে তরুণদের প্রত্যাশা সমূহকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং লক্ষ্য হিসেবে নিয়ে কাজ করছেন।
এবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ নির্বাচনে আমি নিজেও একজন তরুণ ভোটার হিসেবে প্রথম ভোট প্রদান করব। এটা অবশ্যই আমার কাছে আনন্দের কারণ এই প্রথম আমি বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ নাগরিক হিসেবে নিজের পছন্দের কোন প্রার্থীকে ভোট প্রদানের মাধ্যমে মূলধারার নেতৃত্ব আনার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে সবকটি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ এক ভিন্ন পরিবেশে সৃষ্টি করতে পারত। যদিও এক্ষেত্রে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কিন্তু বিরোধী দল বা ছায়া সরকার, সে হিসেবে দায়িত্ব পালন না করার মাধ্যমে জনগণকে বঞ্চিত করা এবং সংবিধান অনুযায়ী তাদের অনুসারীদের ভোট দান এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ আইনের অপমান করেছেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে শুধু এশিয়ায় নয় গোটা বিশ্বের কাছে উন্নয়ণের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতির রেকর্ড মাত্রায় হার কমিয়ে এনে দারিদ্রতা হ্রাস করার মাধ্যমে শিক্ষা-চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনে, স্যাটেলাইট বা প্রযুক্তির যুগে প্রবেশের মাধ্যমে, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরীর মাধ্যমে বিদেশী নির্ভরতা কমিয়ে এনে, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল এর মতন অবাক বিস্ময় তৈরীর মাধ্যমে এক সময়ের তলা বিহীন রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত অনুন্নত বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণ সমাজ নিজেদের ভোট শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই উন্নয়ন যাত্রা থামাতে দিবে না। তরুণ সমাজ অবশ্যই অন্যদের মদতে চলা, স্বাধীনতা বিরোধী, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি, অসহায় জনগণের জানমালের ক্ষতি করে বাংলাদেশ এবং দেশের উন্নয়নকে রুখে দিতে চায় এমন কোন কোন নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে চায় না। সব অপশক্তির মুখে ছাই দিয়ে তরুণ সমাজ তাদের কাঙ্খিত স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকেই বেছে নিবে বলে আশাবাদী। তাদের পছন্দ হবে উন্নয়কামী সরকার। A smart citizen will definately vote for a smart government.
নুসরাত জাহান সেপু, শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
তরুণদের ভোট জয়-পরাজয় নিশ্চিত করতে পারে
আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা ভোটের ফলকে প্রভাবিত করবে; বিশেষ করে যারা প্রথম বারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছে। আর এই মুহূর্তে তরুণসমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যার জায়গা হলো কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা। তাই যে দল বা জোট তরুণদের এই ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে, তারাই নির্বাচনে ইতিবাচক ফল পাবে। বাংলাদেশের তরুণসমাজ সামগ্রিক অর্থে ঐক্যবদ্ধ না হলেও তাদের মধ্যে প্রচন্ড দেশপ্রেম, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা আর দেশকে সত্যিকার সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার মানসিকতা রয়েছে। তাই তরুণদের ভোটই আসন্ন নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিশ্চিত করতে পারে। সংখ্যা হিসেবে তরুণ জনগণ বিরাট জনগোষ্ঠী। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের তরুণসমাজ ঐক্যবদ্ধ নয়। তাদের ভিতরে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করে। তারা কিছুটা হতাশও। এরপরও রাজনৈতিকদলগুলো তরুণদের আকাঙ্ক্ষার সাথে একাত্ম হয়ে যদি কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করে তাহলে তারা ভালো ফল পেতে পারে।
রাহাত চৌধুরী, শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ
নতুন ভোটার বয়সে তরুণ হলেও বুদ্ধিতে নয়
অলি-গলিতে ছেয়ে গেছে ব্যানার, পোস্টার, তোরণ, দেয়াল লিখন আর প্যান্ডেলে। পাড়ার অলি-গলিতে কিছুক্ষণ পর পর জটলা, শোভযাত্রায় বাজছে মাইকের শব্দ। উন্নয়ন, পরিকল্পনা আর নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে দেখিয়ে গণসংযোগে আদ্যপ্রান্তে চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। এবারই গ্রামের সেতুটির কাজ শুরু হবে, স্কুলে নতুন বেঞ্চ আর বইয়ে মম করবে চারদিক, গ্রামে বিদ্যুৎ আসবে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হবে, বিধবা ভাতা মিলবে, কষ্টের দিন দূর হবে, গ্রাম-শহরের দূরত্ব ঘুচবে এমন জল্পনা-কল্পনার আশা বাঁধতে শুরু করছে ভোটারদের মনে। সেই দিনক্ষণের অধীর আগ্রহ ঠিকরে পড়ছে লাল সবুজ ভূখণ্ডে।
এক্ষেত্রে প্রার্থীদের উন্নয়নের গল্প আর প্রতিশ্রুতির মাঝে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বেছে নিবেন পছন্দের প্রার্থীকে। রাজনৈতিক মেরুকরণ, জোট, সুশাসন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসনের পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকবে বলে মনে করেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা। এই তরুণরাই নেতৃত্ব দিবেন নতুন দিনের।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ- প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তারুণ্যের শৌর্যদীপ্তের ভূমিকা অতুলনীয়। তাই আধুনিক কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠনে তরুণ সমাজই মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের মাঝে উচ্ছ্বাসের সাথে উঠে এসেছে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ, নতুনের আহ্বান আর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন।
বহু বছর পেরিয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজস্ব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, নারী শিক্ষার অগ্রগতি, অর্থনীতির সূচক বেগবান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নয়নের স্বাক্ষর রেখেছে। আমাদের এমন অগ্রযাত্রা দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের কাছে ঈর্ষার বিষয়।
বেকারত্ব দূর করে যারা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী ও শক্তিশালী করে তুলতে ভূমিকা পালন করবে এমন প্রার্থীকে বেছে নিবে তরুণ ভোটারা। উন্নয়নের হাত ধরে পরিবেশ বিষয়েও প্রার্থীদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে।
নতুন ভোটাররা বয়সে তরুণ হলেও বুদ্ধিতে তরুণ নয়। প্রযুক্তি তাদের হাতের মুঠোয়। তারা কারও সাহায্য ছাড়াই তাদের জন্মের আগের তথ্যরাজ্যে একনিমিষেই ঘুরে আসতে পারে। তারা আঙুলের একটু স্পর্শে সহজেই জানতে পারে বিশ্ব পরিস্থিতি, উন্নতি-অবনতি। সুতরাং সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ধোঁকা দেয়ার সুযোগ খুব কম। আবার কোন সরকার দেশটা কতটুকু এগিয়ে নিয়ে গেছে কিংবা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি রাখে- এটাও তারা প্রযুক্তির মাঝেই দেখতে পায়। তাই
এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হতে তরুণদের ভোট সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে। সারা দেশে এবার ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে বয়সের মোট ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তারুণ্যের এই ভোট যারা পাবেন, বিজয় তাদের সুনিশ্চিত বলা যায়।
ছাত্র বা বেকার তরুণ যারা আমাদের ভবিষ্যৎ, তারা সবাই এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চায় যা হবে উন্নত, কর্মমুখর ও সহিংসতামুক্ত সোনার বাংলাদেশ। দুর্নীতি, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে বড় বাধা বলে মনে করে তরুণরা। তারা এমন জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিতে চায় এবং এমন সরকার দেখতে চায়, যে সরকার তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হবে; যে সরকার তাদের দাবিকে প্রাধান্য দেবে এবং তাদের অগ্রযাত্রায় সক্রিয় অংশীদার হবে। এসব বিবেচনায় তারুণ্যের মেধা, শ্রম ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সোনার বাংলা গঠনই হতে হবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের মূল লক্ষ্য।
সারা দেশে তরুণদের ঘিরে গত ১০ বছরে যত উন্নয়ন হয়েছে, তা অতীতে হয়নি। ফলে তরুণরা নিজেদের আরও এগিয়ে নিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভোট দেবে। সত্যের মাধ্যমেই তরুণদের সঠিক পথে রাখা যাবে। এ সত্য জানার পথে সব বাধা অতিক্রম করতে হবে। সত্যের মাধ্যমেই সঠিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। সারা দেশ যেভাবে ডিজিটালাইজড হয়েছে তাতে দেশ তথা তরুণরা এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অনুপ্রেরণার মাধ্যমেই তরুণরা আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের পক্ষে রায় দিবে।
তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ কর্মসংস্থানের সবধরনের ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের যে ট্রেনটি দ্রুত বেগে ছুটে যাচ্ছে, এ ট্রেন থেকে তরুণরা নেমে যাবে- মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকবে না বলে মনে হয় না। অবশ্যই বর্তমান সরকারের প্রতি এ তরুণরা আস্থা রাখবে এবং দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সারোয়ার শাকিল, শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh