রমজানের এই পবিত্র মাসে মানবিক সহায়তা বাড়াতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের গাজাবাসীদের জন্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশি দাতব্য প্রতিষ্ঠান মাস্তুল ফাউন্ডেশন।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডটির ১৫ লাখ বাসিন্দা বিপর্যয়কর ক্ষুধা ও ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টি ব্যাপকহারে বেড়েছে বর্তমানে যা অত্যন্ত সংকাটাপন্ন একটি পর্যায় ৫০ শতাংশকে ছাড়িয়েছে।
তাই অন্যান্য দেশের প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তায় হাত বাড়িয়েছে দাতব্য প্রতিষ্ঠান মাস্তুল ফাউন্ডেশন। মাস্তুল ফাউন্ডেশন এবং আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে পুরো রমজান মাসব্যাপী গাজাবাসীদের জন্য খাদ্য, পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
ফিলিস্তিনে গাজায় খাদ্য সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে মিশরীয় এনজিও সংস্থা ইজিপশিয়ান ফুড ব্যাংক, ইজিপশিয়ান ইয়ুথ কাউন্সিলের এবং মাই ফান্ড একশনের মাধ্যমে। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে এই কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করে যাচ্ছে বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি হাফিজুল ইসলাম বলেছেন, ‘গাজার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে অমানবিক পরিস্থিতিতে বাস করছে। তাদের এই কঠিন সময়ে আমাদের ত্রাণ সহায়তা তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করি।’
খাবার নিতে আসা একজন নারী সেচ্ছাসেবকদের বলেন, ‘ধন্যবাদ আমাদের জন্য খাবার নিয়ে আসার জন্য। আমি খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম আমার সন্তানদের কি খাওয়াব! এখন মনে হচ্ছে তারা আজকের দিনটি ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পাবে না।’
মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কাজী রিয়াজ রহমান বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশিরা এই অসহায় মানুষদের জন্য অনেক দিন ধরে চাচ্ছিলাম সহযোগিতা পৌঁছে দিতে। এখন আমরা সুযোগ পেয়েছি সরাসরি এই মানুষদের জন্য কাজ করার। আপনারা দোয়া রাখবেন আমরা গাজাবাসীদের জন্য এই কার্যক্রমটি চালিয়ে যেতে পারি এবং বাংলাদেশের সম্মান বিদেশের মাটিতে অক্ষুণ্ন রাখতে পারি।’
ফিলিস্তিনে গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে মাস্তুল ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতেও গাজার জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে যে সকল কাজগুলো করার পরিকল্পনা রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, চিকিৎসা সেবায় পর্যাপ্ত মেডিকেল লজিস্টিকসের ব্যবস্থা, এতিম শিশুদের জন্য পড়াশোনার ব্যবস্থা, বিধবাদের স্বাবলম্বী করা, ল্যাট্রিন সুবিধা, পানি সুবিধা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সেবা, ল্যাট্রিন নির্মাণ, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের অস্থায়ী গৃহ নির্মাণে সহযোগিতা ও অন্যান্য।