ফসলের মাঠে এবার ঘাস দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ এঁকেছেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের কৃষক রুমান আলী শাহ। ঘাসগুলো যত বড় হচ্ছে- ততই স্পষ্ট ও নান্দনিক হয়ে উঠছে জাতীয় পতাকা, মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধ।
এর আগে, লালশাক আর পালংশাক রোপণ করে এগুলো ফুটিয়ে তুলেছিলেন রুমান আলী। দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকেই ফসলের মাঠে এমন শিল্পকর্ম করেছেন বলে জানালেন তিনি।
কৃষক রুমান আলী শাহ কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামের কৃষক জিন্নাত আলী মিয়ার ছেলে। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক রুমান কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। ছয় শতক জমিতে কারো সহযোগিতা ছাড়াই এঁকেছেন অনন্য এ শিল্পকর্ম।
রুমান আলী জানান, দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে ফসলের মাঠে গত বছরও লালশাক আর পালংশাক রোপণ করে এমন শিল্পকর্ম করেছিলেন, কিন্তু শাক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে বেশিদিন তা মানুষ দেখতে পারেনি। এ কারণে এবার ঘাস দিয়ে দেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ এঁকেছেন তিনি। ফলে মানুষ এগুলো অনেকদিন দেখেত পারবে।
তিনি বলেন, আমি শুধু দেশপ্রেম থেকেই এ কাজ করেছি। এতে আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। স্থানীয়রা জানায়, রুমান আলী শাহ যা করেছেন- তা দেশপ্রেমের অনন্য নজির। তরুণ প্রজন্ম এ শিল্পকর্ম দেখে উজ্জীবিত হবে।
কুলিয়ারচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৃষক রুমান গত বছরও ফসলে মাঠে দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। এবারও তিনি তা করেছেন। আর্থিক লাভবান না হলেও এরই মধ্যে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন রুমানের শিল্পকর্ম দেখতে আসতে শুরু করেছে। তার কাজে কৃষি বিভাগ গর্বিত।