× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও ঘটনাবহুল ২০২৪ সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

কুড়িগ্রামে হাসির ঝিলিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:৪৯ পিএম । আপডেটঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:৪৩ এএম

রূপরেখা বদলের আর বেশি সময় বাকি নেই। আর কিছুদিন পরেই বহুদিনের অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের। কুড়িগ্রামে নদীশাসনের জন্য দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) এ প্রকল্পকাজের তত্ত্ববধান করছে। এই বাঁধ সম্পন্ন হলে পাল্টে যাবে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের দৃশ্যপট।

স্থানীয়রা জানান, এ প্রকল্প সম্পন্ন হলে  কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত  এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয়  উন্নতি সাধন হবে। জনসাধারণের আর্থসামাজিক অবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সরেজমিনে রাজারহাট উপজেলার তিস্তা পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে চরের মানুষের মাঝে এখন হাসির ঝিলিক।

কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাথর সংকটের কারণে প্রকল্পের কাজে কিছুটা ধীর গতি এসেছে।   

তথ্য মতে, তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমোর, ফুল কোমর, গঙ্গাধরসহ ১৬ টি নদনদী নিয়ে কুড়িগ্রাম। এ জেলাটিকে অনেক নদীভাঙনের মুখে পড়তে হয়। ভাঙন ঠেকাতে ২০২০ সালে নদীশাসনের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।  প্রথমদিকে প্রকল্প এলাকাগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ব্লক তৈরি করে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

এরইমধ্যে পাথর সিমেন্ট,  তেল ও পরিবহন ভাড়া বাড়ার কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো বিপাকে পড়েছে। মেসার্স রূপান্তর, তাজুল-লুনা জেভি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারীসহ পাউবোর অধীনস্থ ঠিকাদাররা জানান প্রথমদিকে পাথর ১০২ টাকা সিএফটি কেনা যেত। সেখানে এখন লাগছে ১৭০ টাকা। তারপরেও পাথর সংকট দেখা দিয়েছে।

করোনাকালীন ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যে তারা নদীশাসনের কাজ অব্যাহত রেখেচেন বলে তারা জানান। তারপরেও পাথর সংকটের কারণে সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ মেষ করার বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর ,নাগেশ্বরী ফুলবাড়ী ও ভুরুঙ্গামারীর স্থল বন্দরে ব্রহ্মপুত্র,  ধরলা, তিস্তা , দুধকুমোর নদের ডান- বামতীর , নদী তীর সংরক্ষণ ও বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হলে ভাঙনের কবল থেকে  অনেক সড়ক, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও জনবসতি রক্ষা পাবে। জমিতে ফসল ভালো হবে। এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল তিস্তা পাড়ে বাঁধনির্মাণ। সরকার আমাদের দাবি পূরণ করেছে।

বাঁধনির্মাণ শেষ হলে ফসল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না বলে রাজারহাটের স্থানীয় কৃষক আজগার আলী। ফসলের ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাবে। তিস্তা নদীর প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।

কুড়িগ্রাম  পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমোর নদীর ডান ও বাম তীরে বাঁধনির্মাণের কাজ অগ্রসরের দিকে। তারা এর সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.