রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষক ইউসুফ আলী কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা নিয়ে চাষ করছেন সূর্যমুখী ফুল। প্রথমবারের মত সূর্যমুখী ফুল চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তার দেখাদেখি ওই গ্রামের অন্য চাষীরাও সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন। ইউসুফ আলী জানান, আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে এবং প্রণোদনা নিয়ে সূর্যমুখীর বীজ ও সার পেয়ে সূর্যমুখী চাষ করেছি। বর্তমানে সুসূর্যমুখী ক্ষেতে অনেক ভাল ফুল এসেছে। এমন পরিবেশে সূর্যমুখী ফুল অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। অনেকেই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। আবার অনেকেই ক্ষেতে ছবি তুলে ফেসবুকে ছবি তুলে পোষ্ট করছেন। তার সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেতে কৃষি অফিস থেকে উপ-সহকারী কর্মকর্তারা এসে মাঝে মাঝে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলেও জানান তিনি।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী চাষ শুরু হয়েছে। সে লক্ষ্যে প্রনোদনার আওতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কৃষককে সার ও বীজ বিতরণের মাধ্যমে এবার এই উপজেলায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। প্রতি একর জমিতে সূর্যমুখীর ২০ থেকে ২৪ মণ ফলন হয়। প্রতি একর জমির সূর্যমুখী থেকে তেল পাওয়া যায় প্রায় ১২ মণ। সূর্যমুখীর তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে মাছের খাবার এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহবুব জানান, গোয়ালন্দ উপজেলায় সরকারি প্রণোদনায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করার জন্য কৃষকদেরকে বীজ, সার ও প্রয়াজনীয় কীটনাশক দেওয়া হয়েছে। এ বছরে উপজেলায় প্রায় দেড়শো বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করা হয়েছে। এ মৌসুমে সফলতা ভালো হলে আগামী বছর ব্যাপকহারে সূর্যমুখী ফুলের চাষ কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পাবে। পাশাপাশি কৃষকরা যেন ন্যায্যমূল্য পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।