বিশ্বমানের
গুড় তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা হাজারি গুড়ের জুড়ি বিশ্বে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে।
ঘ্রাণে ও স্বাদে এটি অনন্য। এই গুড়ের চাহিদা
ও দাম দুটোই আকাশচুম্বী।
ঐতিহ্যবাহী
বিশেষ এই গুড়ের দাম
কেজিতে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। তবে উপকরণের দাম বৃদ্ধিসহ দিন দিন খেজুরগাছের সংখ্যা কমে আসায় বিপাকে পড়েছেন এর সঙ্গে জড়িতরা।
কাকডাকা
ভোর থেকেই শুরু হয় গাছিদের ব্যস্ততা।
সূর্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সারি সারি খেজুরগাছ থেকে শেষ সময়ে চলছে রস সংগ্রহ। খেজুর
গাছে বাঁধা হাঁড়িতে সংগৃহীত রস গাছিরা নিয়ে
আসেন জ্বাল দেওয়ার জন্য। তাফালে জ্বালিয়ে ১২ লিটার রস
থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয় ১ কেজি
হাজারি গুড়।
পরে
সিল দিয়ে তা প্যাকেট করে
বাজারজাত করা হয়। উপকরণের দাম বৃদ্ধি ও খেজুরগাছের সংখ্যা
কমে আসায় বিপাকে পড়েছেন গাছিরা।
হাজারি
গুড় ঘ্রাণ ও সুস্বাদু হওয়ায়
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা, সৌদি আরব, লন্ডন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে।
ঐতিহ্যবাহী
এ হাজারি গুড়ের গুণগত মান ধরে রাখতে ও নকল গুড়
তৈরি বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন জনপ্রতিনিধিরা।
৪০০
বছর আগে হরিরামপুরের ঝিটকা এলাকার গুড়ের ঘ্রাণ ও স্বাদে মুগ্ধ
হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের প্রথম রানি এলিজাবেথ। তারপর থেকেই এ গুড়ের নাম
ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
৩০টি
পরিবারের ৩০০ জন গাছির মাধ্যমে
প্রতিদিন ৩ হাজার গাছ
থেকে ২১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। এ বছর প্রায়
কোটি টাকার হাজারি গুড় বিক্রি হয়েছে।