সিরাজগঞ্জে
বোরো ধান পরিচর্যায় মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। তবে সনময়ের বেশ আগেই কৃষকরা এবার মাঠে নামলেন।
নানা জাতের বোরো ধানই তাদের প্রধান আবাদি ফসল। এবার পরিচর্যায় একটুও ছাড় দিতে চান না
তারা। এভাবেই নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানাচ্ছিলেন স্থানীয় কৃষকরা।
জেলার প্রতিটি
উপজেলার মাঠেই বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। উল্লাপাড়া, সলঙ্গা, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, কাজিপুর,
শাহজাদপুর, কামারখন্দসহ প্রতিটি উপজেলায় বেশির ভাগ মাঠে কৃষকরা বোরো ধানের আবাদ করেছে।
কিছু কিছু জায়গায় এখনও কৃষকেরা বোরো লাগাচ্ছে তবে অধিকাংশ জমিতে ধান লাগান শেষ করে
পরিচর্যায ব্যস্ত রয়েছের কৃষকেরা।
সিরাজগঞ্জ
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৪০ হাজার ৫২৫ হেক্টর
জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রায়গঞ্জের
দোস্তপাড়া গ্রামের কৃষক রহিম, ধলযান গ্রামের আমিন শেখ জানান, বর্তমান সরকার আমলে সারের
অভাব দূর হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে উপজেলার কৃষি অফিস কর্তৃক আমাদের সার্বিক
সহায়তা করে আসছে। তাই প্রতিটি ফলনই ভালো হলেও বিগত বন্যায় আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম।
এবার বোরো ধান চাষে সেই ক্ষতিও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
তাড়াশ উপজেলার
দেশিগ্রামের কৃষক মোতালেব শেখ বলেন, ‘এবার ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান নাগান অইছে। আশা করি,
বোরো ধানের ফলন ভালো অইবো।’
উল্লাপাড়া
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন জানান, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদেরকে এলএলপি পদ্ধতি
অর্থাৎ লাইন করে ধান চারা লাগাতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে বোরো ধান চারা লাগালে
ফসলের আবাদ ভাল হয়।
জেলা উপসহকারী
কৃষি কর্মকর্তা গৌর চন্দ্র দত্ত জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকদের কৃষি গবেষণার বোরো ধানের
উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড বীজ বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত
কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু জাফর মো. আহসান শহীদ সরকার
জানান, এ বছর সিরাজগঞ্জে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫২৫ হেক্টর
জমিতে।