ঋতু পরিবর্তনের শুরুতেই বেড়েছে শীতের আমেজ। সেইসাথে শীত এলেই শুরু হয়ে যায় পিঠা-পুলির মহোৎসব। পিঠা উৎসবে আখের গুড়ের যেন জুড়ি নেই। ইতিমধ্যেই রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আখ চাষিরা। এ লাকায় আখ চাষে মাটি ও আবহাওয়া বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আখ চাষে করেছেন চাষিরা। শীতের মৌসুমের শুরু থেকেই সংরক্ষিত আখ মাড়াই ও গুড় তৈরির কাজ শুরু করেন চাষিরা।
আখ চাষে লোকসান নয় মুনাফার মাত্রাটাই বেশি থাকে আর তাই পাংশা উপজেলার চরাঞ্চলের চাষিরা আখ চাষ করে থাকেন। তবে এবার আর মুনাফার আশা করছেন না চাষিরা। তারা বলছেন এবছর বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে আমাদের এবং অন্য বছরের তুলনায় এবছর তেল ও চাষাবাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় তেমন লাভের আশা করা যাচ্ছে না।
উপজেলায় এবছর ৬শত ৫০ হেক্টর জমিতে রঙ বিলাস, তলা বিলাস, পঞ্চান্ন, হুলিয়া যাবা সহ ৫/৭ প্রজাতির আখ চাষ হয়েছে। পৌষ-মাঘ মাসে আখ থেকে ভালো রস পাওয়া যায় এ সময় গুর উৎপাদন হয় ভালো তাই পৌষের শুরুতেই আখের গুড় তৈরির হিড়িক পড়ে যায়।
উপজেলার আখ চাষি মোঃ লতিফ মোল্লা বলেন, প্রথমত বন্যায় জমি ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এবং বন্যার কারণে ফলন ভালো না হওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। তারপরে এবছর তেলের দাম বৃদ্ধি যেহেতু আমরা মেশিনে আখ মাড়াই করে থাকি এবং শ্রমের দাম বৃদ্ধি সহ চাষাবাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার আখ চাষে লোকসান হবে আমাদের।
হাবাসপুর ইউনিয়নের শাহামিরপুর গ্রামের আখ চাষি তালেব মোল্লা বলেন, গুড়ের বর্তমান বাজার দর ২হাজার ২শত টাকা মন হাওয়ায় লাভ হচ্ছে না আমাদের। মন প্রতি গুড়ের দাম তিন হাজার টাকা হলে হয়তো আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারতাম।
পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ বলেন, অন্যান্য বছর কৃষক প্রতি শতাংশে দুই থেকে আড়াই মন গুড় ঘরে তুলতো। কিন্তু এবার বন্যার কারণে আখের ফলন ভালো হয়নি। ফলে লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে কৃষকদের। তবে আমাদের কাছে কৃষকরা যখনই যেকোনো পরামর্শের জন্য এসেছে আমরা তাদেরকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছি।