বরগুনা সদর উপজেলায় এক বন্যপ্রাণী শিকারীর বাড়ি থেকে ঘুঘু, ডাহুক ও বানরের বাচ্চা উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। দুপুরে বন্যপ্রাণী শিকারের সাথে জড়িত মজিবর হোসেনের বাড়ি থেকে এসব প্রাণী উদ্ধার করা হয়।
মজিবর বরগুনা সদরের বালীয়াতলী ইউনিয়নের বড় বালীয়াতলী গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। বরগুনার বণ্যপ্রাণী অবৈধ শিকার ও বিক্রি চক্রের মূল হোতা এই মজিবর হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে বন্যপ্রাণী ও বিক্রি করে আসছেন।
বন বিভাগসূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে গ্রামবাসীরা দেখতে পান যে প্রতিদিন সকালে ফাঁদ নিয়ে শিকারে বের হয় মজিবর। ট্রলারে করে বরগুনার টেংরাগিরি, ছোনবুনিয়া, টুলুর চর সহ উপকূলের বন থেকে বণ্যপ্রাণী ও পাখি শিকার করে সন্ধ্যায় খাঁচাভর্তি করে নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। এসব পাখি আবার গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতেন। এছাড়াও বিভিন্ন কবিরাজের কাছে এসব পাখি বিক্রি করতেন। স্থানীয়রা অবাধে বন্যপ্রানী শিকারে নিষেধ করলেও মজিবর তা শোনেননি।
পরে পরে স্থানীয়রা বন বিভাগকে বিষয়টি জানালে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে মজিবরের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বেশকয়েকটি ঘুঘু, ডাহুক দুটি বানরের বাচ্চা ও পাখি ধরার ফাঁদ উদ্ধার করে। এসময় বন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মজিবর ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
রাজু, মুসা, আল আমিন, হাসানসহ কয়েকজন স্থানীয় বলেন, আমরা প্রতিদিন দেখতাম ফাঁদ ও কয়েকজন সহযোগীদের নিয়ে শিকারে বের হত মজিবর। আমরা তাকে অনেক বুঝিয়েছি, তিনি আমাদের কথায় কান দেয়নি। এমনিই ঘুঘু, ডাহুকের মত পাখিগুলো আগের দেখা যায়না। এসব শিকারীদের কারনে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে পাখিগুলো। এদের এখনই রুখে দেয়া দরকার। তবে বন বিভাগের উদাসীনতার কারনে এদের দৌরাত্ম বেড়েছে।
বরগুনার বণ বিভাগের বন সংরক্ষক মতিয়ার রহমান বলেন বলেন, উদ্বার করা ঘুঘু এবং ডাহুক বনে অবমুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তবে আটকে রাখার ফলে বানরের বাচ্চ দুটি অসুস্থ্য হয়ে পরেছে। এদের চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হওয়ার পর অবমুক্ত করা হবে। ঘটনায় যারা জড়িত সকলকে বণ্যপ্রাণী আইনে মামলার আওতায় আনা হচ্ছে।