× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

গরিব মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে- তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

১১ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:২৭ এএম । আপডেটঃ ১১ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৩১ এএম

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প গরিব মানুষের মুখে হাসি এনে দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে যশোর সদর উপজেলার চাষাঢ়ায় নির্মিত ‘শতবর্ষ’আশ্রয়ণ প্রকল্প’ এবং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাহাবাটি মৌজায় ’আশ্রয়ণ প্রকল্প-৭১’ নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি গৃহহীন মানুষের জন্য শুধু বাসস্থানই নয়, সুপেয় পানি ও সেনিটেশন সুবিধাও দিয়েছে। যা আমাদের দেশের এসডিজির লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করছে। এসব মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পাওয়া যে কোন সরকারি কর্মকর্তার জীবনে শ্রেষ্ঠ কাজ। মুজিবর্ষে গৃহহীন ভবঘুরে অসহায় ৭ লক্ষাধিক মানুষকে ঘরের আওতায় আনা হয়েছে। চলতি বছরে আরো ১ লক্ষ মানুষকে জমিসহ ঘরের আওতায় আনা হবে। এসব রঙিন ঘরে এসকল মানুষের জীবনই পরিবর্তন হচ্ছেনা, তার বংশধরও পরিবর্তন হচ্ছে।

এর আগে,  দুপুরে যশোরের পিটিআই অডিটোরিয়ামে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী  হতদরিদ্র এসব ঘর ব্যবস্থাপনা নিয়ে সবসময়ই দেখাভাল করছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের তত্বাবধায়নে বাস্তবায়ন করছে উপজেলা কর্মকর্তারা। দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হলো সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা। সবাইকে গৃহ প্রদানের মাধ্যমে জেলা উপজেলাকে ভ‚মিহীন গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ রয়েছে, ভূমিহীনদের জন্য খাস জমি পাওয়া না গেলে জমি কিনতে হবে। কেনা জমিতে ঘর নির্মাণ করে গৃহীহীনদের পুনর্বাসন করতে হবে। কোন আশ্রয়ণের যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের জন্যও অর্থ দেয়া হচ্ছে। তাই স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে হবে। আশা করছি তৃতীয় ধাপেও সকল ঘর সফল ভাবে নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। এসময় উপস্থিথ ছিলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, আশ্রয়ন- ২ প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন, যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানসহ উপপরিচালক, স্থানীর সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী গণপূর্ত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তারা।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মুনিম লিংকন জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে যশোরের চাঁচড়ায় ১০০ টি ঘর ভুক্তভোগীদের হাতে দেওয়া হয়েছে। ঐ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শতবর্ষ’ প্রকল্প। প্রকল্পের আগে ঘিঞ্জি ঘনবসতি আর দুগন্ধময় পরিবেশের কারণে অনেকে যেটাকে বস্তি বলে অভিহিত করতো। এখন ঘর নির্মানের ফলে সেটাই হয়েছে জেলার দর্শনীয় স্থান। সেখানে ১০০ টি পরিবারের জন্যে নির্মিত এই ঘরের পাশাপাশি রয়েছে বিনোদন কেন্দ্র, পুকুর, বৃক্ষরাজি শোভিত সৃজিত বনায়ন, পাকা সড়ক, মসজিদসহ নানা সুবিধা। চলতি বছরে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাহাবাটি মৌজায় এক একর ৭৮ শতক জমি উদ্ধার করে ৭১ টি ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিটি ঘরের মূল্য ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। প্রায় কাজ শেষ হওয়া এই আশ্রয়ণ-৭১ প্রকল্পটি ভোক্তভোগীদের হাতে আগামি মার্চ মাসে হস্তান্তর করা হবে। 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.