দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় শীতল বাতাস। এদিন দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের প্রকোপ বাড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষদের কষ্টের শেষ নেই। দিনমজুর, রিকশাচালক ও শ্রমজীবীরা এ কনকনে শীতে কাজে বের হতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার সঙ্গে হালকা বৃষ্টির মতো আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। শীতের তীব্রতায় কৃষি কাজেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কৃষকেরা জানান, কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে মাঠে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কনকনে শীতের কারণে শ্রমজীবী মানুষও পড়েছেন চরম বেকায়দায়।
রিকশা চালক আফজাল হোসেন বলেন, হিমেল বাতাসের সঙ্গে কনকনে শীতের কারণে রিকশা নিয়ে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এরপরও পেটের ভাত যোগান দিতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বের হলেও যাত্রীর অভাবে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হচ্ছে। স্বাভাবিক দিনে ১২ টা পর্যন্ত অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ আয় হলেও আজ হয়েছে মাত্র ৭০ টাকা। ঠান্ডার কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ীর বাহিরে বের না হওয়ায় যাত্রীর অভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীর ভিড় বাড়ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারী ক্লিনিকগুলোতে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে বর্তমানে সর্দি কাশি, জ্বর, শ্বাস কষ্ট জনিত, পাতলা পায়খানা, পেট ব্যথাসহ শীত জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। শিশু ও বয়স্কদের শীত থেকে সুরক্ষিত রাখতে অপ্রয়োজনে ঘরের বাহিরে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। শীতের এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী দিনগুলোতে দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা।