× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

রায়পুরে শীতের শুরুতেই লোডশেডিং ও অস্বাভাবিক বিলে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ

মাহমুদুন্নবী সুমন রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)

০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:২৯ পিএম । আপডেটঃ ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৮ পিএম

ছবি: সংবাদ সারাবেলা।

রায়পুরে শীতের শুরুতেই ঘন ঘন লোডশেডিং ও বাড়তি বিলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। নভেম্বর -ডিসেম্বর শীতের শুরুতেই ভোররাত, সন্ধ্যাসহ দিনে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। 

জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রায়পুর জোনাল অফিসের আওতাধীন উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ মোট গ্রাহক ৯৫ হাজার ৮৫৬ জন। মোট এক হাজার ৩১৮ কিলোমিটারে আবাসিক ৭৯ হাজার ৯২২ এবং বাণিজ্যিক গ্রাহক সাত হাজার ৬৩৯ জন। কর্মকর্তা ও কর্মচারী ৯৫ জন। রায়পুর শহর, সোনাপুর ইউপির রাখালিয়া, চরআবাবিল ইউপির হায়দরগঞ্জ ও চরবংশী ইউপির আখনবাজারে স্থাপিত চারটি অভিযোগকেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা চলছে। ১২টি ফিডের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে সঞ্চালন লাইন। ৩০ জন লাইনম্যান প্রতিদিন গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকেন।

রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের জরুরী বিভাগের ডাক্তার মাহির হোসেন বলেন জরুরী বিভাগে সারাদিনে বিভিন্ন ধরনের রুগী আসে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যা হয়।অনেক ক্ষেত্রে মোমের আলো দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হয়।

রায়পুর শহরের মধ্যবাজার ও আলিয়া মাদ্রাসা সড়কের ব্যবসায়ী মো. রাজু, বাবু মিয়া, নিমাই কর্মকার, হাফিজ মিয়াসহ ২০ গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, ‘হঠাৎ করে অক্টোবর ও নভেম্বর  মাসের অস্বাভাবিক অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বর্তমানে শীতের শুরুতেই বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে কারখানায় উৎপাদন ব্যহত হয়। একে তো আয় কম, তার ওপর এত টাকার বিল পরিশোধ করতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। বিদ্যুৎ কার্যালয়ে দৌড়ঝাঁপ করে কেউ কেউ ভৌতিক বিল সংশোধন করে আনতে পারলেও অধিকাংশের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। আগামী মাসের বিলের সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিদায় করে দিচ্ছেন অফিসের লোকজন। ফলে সংযোগ বিচ্ছিন্নের ভয়ে বাধ্য হয়ে তারা এটা-সেটা বিক্রি করে বিল পরিশোধ করছেন। পৌর শহরের গ্রাহক  নজরুল, সিরাজ ও জাবেদসহ কয়েকজন বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে তিন-চার ঘণ্টা পর চালু হয়। এছাড়া প্রতিদিন দু-তিনবার বিদ্যুৎ চলে যায়। আগে গড়ে প্রতিদিন ১০-১৫টি অভিযোগ সমাধান করলেও তখন তা বেড়ে ৮০ থেকে ৯০টির মতো দাঁড়ায়। কখনো কখনো দিন-রাত কাজ করে লাইন চালু করতে হয়। জোনাল অফিসে আরও ১০-১৫ জন লাইনম্যান পদায়ন করলে এ দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমে যেত। 

রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, মাঝেমধ্যে দু-চারটি বিল রিডিংয়ে সমস্যা হতে পারে। তবে অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ নিয়ে কেউ অফিসে এলে তাৎক্ষণিক তা সংশোধন করে দেন অথবা পরের মাসের বিলে সমন্বয় করে দেওয়া হয়। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ পাওয়ার  কারণে বারবার লোডশেডিং হচ্ছে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.